পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ মোছলেম জগতের ইতিহাস খোত বা পাঠ করিতেন। উক্ত থোত বা রাজনীতি বিষয়ক প্রবন্ধ লুইয়া রচিত হইত। শাসন ও সামরিক বিভাগের বায় বাদে যাহা উদৃত্ত থাকিত, তাহা সাধারণের অভাব মোচনার্থ ব্যয় করা হইত। কৃষিজীবী ও বণিকদিগের উন্নতিকল্পে যথেষ্ট যত্ন ও চেষ্টা করা হইত। এই উদ্দেশ্যেই মেছর, শাম, ইরাক, দক্ষিণ পরশু প্রভৃতি স্থান জরীপ করা হইয়াছিল। একটা খতিয়ান প্রস্তুত হইয়াছিল, তাহাতে জমিবু পরিমাণ, উর্বর শক্তির বিবরণ, উৎপন্ন শস্যাদির অবস্থা, প্রজার অধিকারের বিবরণ প্রভৃতি লিখিত ছিল । এতদ্ভিন্ন তাইগ্রীস ও ইউফ্রেতিস নদী হইতে জল নিষ্কাশনের জনা অনেকগুলি প্রণালী প্রস্তুত করা হইয়াছিল ৷ ধনশালী পরিশ্রাধিপতিগণ যে সকল বিষয়ে অমনোযোগী ছিলেন, খলিফাগণ সেই সমস্ত বিষয়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ তত্ত্বাবধান করিতেন। মেছর ও আরবের মধ্যে যাতায়াতের সুবিধার জন্য মুয়েজ প্রণালীর সংস্কার করা হইয়াছিল । কাজী আখ্যাধারী কৰ্ম্মচারীর উপর বিচার ভার অর্পিত ছিল। এই পদের জন্ত নিম্নলিখিত সৰ্ত্ত নিৰ্দ্ধারিত ছিল—(১) পরিণত বয়স, (২) স্বাস্থ্য ও বুদ্ধিমত্তা, (৩) মুক্তাবস্থা ( ক্রীতদাস এই পদের অনুপযোগী ), (৪) ইছলাম ধৰ্ম্মাবলম্বন, (৫) সচ্চরিত্রতা, (৬) শরিয়তে পূর্ণজ্ঞান ও অধিকার। কাজী অভিযোগ গ্রহণ করিয়া মীমাংসা করিতেন এবং স্বীয় আদেশ কার্য্যে পরিণত করাইতেন। তিনি মছজেদ ও বিদ্যালয়ের ওয়াক্ফ সম্বন্ধে বিচার করিতেন, নাবালক ও উহাদের সম্পত্তি রক্ষণ জন্ত কাউন্সিল নিযুক্ত করিতেন, রাস্তা ঘাট পৰ্য্যবেক্ষণ করিতেন এবং আবখ্যক হইলে মছজেদের ইমামতীও করিতেন । ইহার বিচারের বিরুদ্ধে আপিল শুনিবার জন্ত স্বতন্ত্র আদালত নির্দিষ্ট ছিল। খলিফা স্বয়ং এই আদালতের সভাপতিত্ব করিতেন। শাসন ও বিচার ভার বিভিন্ন ব্যক্তির উপর ন্যস্ত ছিল। বর্তমান কালে ভারত শাসন ও বিচার বিভাগের পার্থক্য সাধনকল্পে নানাবিধ আয়োজন