পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস ,৩৩ চলিতেছে কিন্তু তাহাতে এ যাবৎ বিশেষ কোন ফল লাভ হয় নাই। তথাকথিত (?) অসভ্য আরবদেশে ত্রয়োদশ শতাব্দী পূৰ্ব্বে যে প্রণালী প্রচলিত ছিল, তাহ বৰ্ত্তমান সভ্যতাভিমানী যুগেও প্রতিষ্ঠিত হইতে পারিতেছে না। ঘে সাধারণতন্ত্র মুষ্টিমেয় লোক দ্বারা আরবে প্রবর্তিত হইয়াছিল, সহস্রাধিক বর্ষের শিক্ষার পরেও তাহা এখনও সম্যক্ প্রবর্তিত হইতে পারে নাই। বৰ্ত্তমান যুগে সভ্য জগতে যে রাজস্ব প্রণালী প্রবর্তিত হইয়াছে, তাহ বহুকাল পূৰ্ব্বে মােছলেম মস্তৃিক্ষ হইতেই প্রস্থত হইয়াছিল। আরব সৈন্তা—অশ্বারোহী ও পদাতিক শ্রেণীতে বিভক্ত ছিল। অশ্বারোহীর ঢাল, অসি ও দীর্ঘ বর্শা ব্যবহার করিত। পদাতিকের ঢাল, বর্শা ও অসি অথবা ঢাল ও তীর ব্যবহার করিত । যুদ্ধকালে পদাতিকগণ সাধারণতঃ অগ্র পশ্চাৎ তিন পংক্তিতে সজ্জিত হইত। উহাদের সর্ব পশ্চাতে তীরন্দাজ ও সম্মুখে বর্শাধারী থাকিত । বর্শাধারিগণঅশ্বারোহীর আক্রমণ নিষ্ফল করিতে প্রয়াস পাইত। মোছলেম সৈন্য অত্যন্ত শ্রমশীল ও কষ্টসহিষ্ণু ছিল । তাহারা এই সমস্ত গুণেই অজেয় হইয়াছিল। অশ্বারোহিগণ লৌহব,ও শিরস্ত্রাণ ব্যবহার করিত। পদাতিকগণ খৰ্ব্ব পায়জামা ও পাঞ্জাবিদিগের স্তায় জুতা পরিধান করিত। বর্তমান ইউরোপীয় সৈন্য ইহাদেরই কতক অনুকরণ করিয়া, থাকে। প্রকৃত পক্ষে, প্রাচীন কালে মোছলেমগণ যেরূপ যুদ্ধসজ্জা প্রচলন করিয়াছিল, বর্তমানকালে তাহার সম্যক অনুসরণ সহজসাধু বলিয়া অনুমিত হয় না। তৎকালে যুদ্ধ ক্ষেত্রে সৈনিকদিগের ব্যবহার সম্বন্ধে বিশেষ কঠোরতা অবলম্বন করা হইত। মত্তত বিশেষরূপে নিষিদ্ধ ছিল। যুদ্ধকালে তখুন ঢাক ঢোল ব্যবহৃত হইত। - জেহাঙ্গ—বিজিত লোকদিগকে ইছলাম গ্রহণ করিবার জন্য খলিফাগণ আহ্বান কুরিতেন। ইহাতে আপত্তি ফুলে খলিফাদিগের প্রভুত্ব স্বীকার করিয়া তাহাদিগকে জিজিয়া দিতে হইত। জিজিয়া দিতে স্বীকার