পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\Ob’ মোছলেম জগতের ইতিহাস । সকল কারণে হজরত ওছমান জায়েদ-বিন্‌ ছাবেতকে কোরআন পুনঃ ংগ্রহ করার আদেশ দিলেন। বিবি হাফ জার রক্ষিত কোরআনের সহিত ঐক্য রাখিয়া পুনরায় কোরআন লিপিবদ্ধ করা হইল। ইহা অবিকল পূৰ্ব্ব সংগ্রহেরই অনুরূপ হইয়াছিল। খলিফার অধিকারস্থ সমস্ত স্থানের অশুদ্ধ কোরআন সংগ্ৰহ করিয়া নষ্ট করিয়া দেওয়া হইল এবং পূৰ্ব্বোক্ত ংগ্রহের প্রতিলিপি সৰ্ব্বত্র প্রেরিত হইল। এই সংগ্রহেও জের জবর, ও পেশ জ্ঞাপক চিহ্ন ছিল না। উত্তরকালে এই সকল চিন্তু বিশুদ্ধভাবে প্রদত্ত হইয়াছিল। অর্ণ হজরত এক মাসে কোরআন সমাপ্ত করা ভাল মনে করিয়া উহাকে ৩০ ভাগে বিভক্ত করিয়া আবার প্রত্যেক ভাগকে চারি অংশে বিভক্ত করিয়াছিলেন। প্রত্যেক ভাগ আবার কতকগুলি রূকুতে বিভক্ত হইল। ৩ ভাগের প্রত্যেক ভাগকে পার বা জুজ বল হয়। যে পারার আরম্ভে যে শব্দ আছে, তাহাই ঐ পারার নাম হইয়াছে। ছুরাতে সন্নিবিষ্ট বিশেষ বিশেষ ঘটনা অবলম্বন করিয়া ছুরার নামও দেওয়া গিয়াছে। সৰ্ব্ব বৃহৎ ছুরায় ২৮৬ আয়েত এবং সৰ্ব্ব ক্ষুদ্র ছুরায় মাত্র ৩ আয়েত সন্নিবিষ্ট আছে। কোরআন পাঠের ৭ট কেরাত বা পাঠপ্রণালী প্রচলিত আছে। উহা অক্ষরের হ্রস্ব ও দীর্ঘ উচ্চারণের উপর নির্ভর করে। এই সকল ব্যতীত তালমান যুক্ত করিয়া গানের ন্যায় কোরআন পাঠ অবৈধ, কিন্তু সুস্বরে শুদ্ধভাবে কোরআন পাঠ করা পুণ্য কার্যের মধ্যে গণ্য। কোরআনের প্রত্যেক ছুরা ও প্রত্যেক আয়েত যে বিশেষ শক্তিসম্পন্ন তাহার পরিচয় এই যে, আপদে বিপদে, রোগে শোকে ইহার অংশ বিশেষ পাঠ করিয়া পাঠক সুফল পাইয়া থাকেন। চুরে ফাতেহ সম্বন্ধে অর্ণ হজরত বলিয়াছেন, “এই সপ্ত আয়েতযুক্ত ছুর মহা কোরআন ; ইহা সৰ্ব্বপ্রকারুরাগ হইতে মুক্ত করিতে পারে । - ‘কোরআন কাব্য না হইলেও কাব্য হইতে বরং সুন্দর, ইহা বৌদ্ধ