পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস । 8& সকলে স্তম্ভিত হইল। ওবায়দুল্লা এমাম হোছায়নের সহোদরা ও মুতাবশিষ্ট পুত্র এবং কন্যাগণকে এমাম হোছায়নের ছিন্ন মস্তক সহ দামেস্কে এজিদের নিকট প্রেরণ করিল। মহিলা ও শিশুদিগের প্রতি যথোচিত সন্মান প্রদর্শন পূৰ্ব্বক তাহাদিগকে নিরাপদে মদিনায় পাঠাইবার জন্য এজিদ উপযুক্ত বন্দোবস্ত করিলেন । কারবালার অধিবাসিগণ এমাম হোছায়ন ও তদীয় অনুচরবর্গের ছিন্ন দেহাংশ কবরস্থ করিল। এক্ষণে ঐ সমাধিস্থান সমগ্র মোছলেম জগতের পরম পবিত্র পুণ্যক্ষেত্র বলিয়া পরিগণিত। এমাম হোছায়নের ছিন্ন মস্তক দামেস্ক হইতে মদিনা এবং তথা হইতে কায়রো নগরে নীত হইয় সমাচিত হইয়াছিল। তজ্জন্য এই স্থানও মোছলেম জগতে বিশেষ সম্মানিত হইয়া আসিতেছে । এমাম পরিবার মদিনায় পৌছিবামাত্রই ক্ৰন্দনের রোল উঠিল। সকলে হায় তোছায়ন । তায় হোছায়ন ! বলিয়া বক্ষে করাঘাত করিতে লাগিল । সাম্রাজ্যের চতুর্দিকে কোলাহল পড়িয়া গেল।*

  • মহাত্ম। এমাম হোছায়েনের মৃত্যুর সম্বন্ধে ঐতিহাসিকগণের মধ্যে, মতভেদ দৃষ্টি হয় । কেহ কেহ বলেন যে, যখন মহাত্মা এমাম হোছায়েন মোছলেম সৈন্তগণের নেতৃত্বপদ গ্রহণপূর্বক কৰ্মষ্টান্টিনোপল অববোধ করিতেছিলেন, সেই সময়ে গুপ্তঘাতকের হন্তে প্রাণ বিসর্জন দিয়াছিলেন। আবার কেহ কেহ বলেন যে, ইরাকবাসিগণ মহাত্মা এমাম হোছায়েনের নিকট পবিত্র ইসলামধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইবে বলিয়া তাহাকে তাঁহাদের দেশে শুভাগমন করিবার জন্য বারংবার সাগ্রহে নিমন্ত্রণ করিয়া পাঠায় । তদনুসারে তিনি ইরাক প্রদেশে গমনকালে পথিমধ্যে ইউফ্রেতিস নদীর দক্ষিণ তীরে ইহুদীবংশোদ্ভব গুপ্তঘাতক সীমার কর্তৃক নিহত হন। ,

যে সকল ইতিবেত্ত কারবালায় বিষাদপূর্ণ ঘটনা অস্বীকার করেন, তাছারা বলেন যে, যে মহাত্মা এমাম হোছায়েন পার্থিব ভোগ-সুখ-বিরত, সদানন্দ ও নিরাকাঙ্ক্ষ অলি ও সুফিদিগের সৰ্ব্ববাদিসম্মত ধৰ্ম্মগুরু ও নেক, তিনিই কি কখনু পার্থিব অকিঞ্চিৎকর ধনৈশ্বৰ্য্য ও ক্ষমতালাভের আশায় প্রলুব্ধ হইতে পারেন ? এবং যে সিংহাসন তাহার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ধৰ্ম্মভীরু মহাত্মা এমাম হাছান ৪১ হিজুরীতে ত্যাগ করিয়াছিলেন, সেই সিংহাসন পুনঃ লাভের আশায় তিনি স্থনিয়ন্ত্রিত গবৰ্ণমেন্টের বিপক্ষে যড়যন্ত্রকারী ও রাজদ্রোহিদিগকে চালিত করিবার জন্ত স্বীয় হুজরা ত্যাগ করিয়াছিলেন, এরূপ বিশ্বাস