পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

レo ঘটনাবলী সংক্ষেপে উল্লিখিত হইয়াছে। পৃথিবীর মধ্যে যে সকল মোছলেম রাজত্ব ভিন্ন ভিন্ন কালে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, তাহাদের বংশক্রম পুস্তকের শেষাংশে প্রদত্ত হইয়াছে। উহাতে প্রত্যেক বংশের রাজত্বকাল নির্দিষ্ট হইয়ছে এবং যে দেশে যে রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল,তাহাও উল্লিখিত হইয়াছে। ইছলাম সত্যবলে আরবের অন্ধকার দূর করত পূৰ্ব্বে মেছোপোটেমিয়া, পারস্য, আফগানিস্তান,চীন, মঙ্গোলিয়া, পূৰ্ব্ব-উপদ্বীপ, উত্তরে শাম, এসিয়ামাইনর, তুরস্ক, జా, পর্তুগাল, ফ্রান্স, পশ্চিমে মেছর, মরক্কো, ত্রিপোলী এবং দক্ষিণ পূৰ্ব্বে হিন্দুস্তান, সিংহলদ্বীপ পর্য্যন্ত বিস্তার লাভ করিয়াছিল। মোছলেমগণ সৰ্ব্ববিধ শিক্ষার অধিকারী হইয়া সভ্যতার উচ্চ শিখরে অধিরেহণ করিয়াছিল। কোন রাজত্ব কখনও তালিবলে দীর্ঘকাল স্থায়ী থাকে নাই। চেঙ্গিজ কান প্রমুখ দুৰ্দ্ধৰ্ষ অমোছলেম মোগলগণ প্রাচীনকালে কিছু কালের জন্য মধ্য এসিয়ায় বিশাল রাজ্য স্থাপন করিয়াছিল বটে, কিন্তু উহাদের বংশধরগণ বহুকাল উক্ত রাজত্ব স্থায়ী রাখিতে সমর্থ হয় নাই। যে মোছলেম জাতি আজ সমগ্র পৃথিবীতে বিস্তৃত, যে ধৰ্ম্ম সহস্রাধিক বৎসর যাবৎ স্বীয় গৌরব রক্ষণে সমর্থ, সে জাতি ও ধৰ্ম্ম নিশ্চয়ই ঐশবলে সংরক্ষিত ও পরিপুষ্ট। যে ঐশীশক্তি প্রভাবে ইছলাম নদী, পৰ্ব্বত, সমুদ্র অতিক্রম করিয়া এক, ভূভাগ হইতে অন্ত ভূভাগ পৰ্য্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করিতে সক্ষম হইয়াছে, সেই শক্তি ইছলামকে সঞ্জীবিত রাখিয়া সমগ্র পৃথিবীতে সত্য এচার,করিতে নিঃসন্দেস্তু সহায়তা করিবে । • হজরত রঙ্কুলে করিমের জীবন কালে ইছলামের যে জাগরণ হইয়াছিল, •তাহ মৎপ্রণীত “ইছলাম ও আদর্শ মঞ্ছাপুরুষ” নামক গ্রন্থে বিস্তারিত ভাবে লিখিত হইয়াছে, সুতরাং এই পুস্তকে তাহার দ্বিরুক্তি সমীচীন বোধ করিলাম না। খলিফাগণের শাসন কাল হইতে বর্তমান মোছলেম শাসনই এই পুস্তকের অঙ্গীভূত হইল। আরবী "ছিন” অক্ষরের প্রতিঅক্ষর বঙ্গ, ভাষায় না থাকায় এই পুস্তকে তৎপরিবর্তে ছ-কার ব্যবহৃত হইয়াছে ।