পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 মোছলেম জগতের ইতিহাস । ইহার পর হইতে প্রাদেশিক শাসনকর্তৃগণ এরূপ ক্ষমতাশালী হইয়৷ উঠে যে, তাহার খলিফার ক্ষমতা অমান্য করিয়া আপনারাই যুদ্ধবিগ্ৰহ করিতে এবং স্ব স্ব শাসন বিস্তারে প্রবৃত্ত হয়। খলিফাগণের জীবনও ছামারার প্রধান নেতার অনুগ্রহের উপর নির্ভর করিতে লাগিল । ৮৬৫ খৃষ্টাব্দে খলিফা মোস্তায়েন ছামারা হইতে পলায়নপূর্বক বাগাদের তাহেরবংশের শাসনকৰ্ত্তার আশ্রয় গ্রহণ করেন। কিন্তু তুর্ক সৈন্যগণ বাগাদ অবরোধপূর্বক মোস্তায়েনকে নিহত করে এবং তদীয় ভ্রাতা মোতায়াজকে খলিফা পদে বরণ করে। মোস্তারেনের হত্যার পর তুর্কী শরীররক্ষীদল সৰ্ব্বেসৰ্ব্বা হইয়া মেছোপোটেমিয়ার একচ্ছত্র অধিপতি ভইয়া উঠিল এবং আববাছীয় সাম্রাজ্যের গৌরব একেবারে লোপ পাইল। তুলুন বংশ মেছরের সহিত ছিরিয়া যুক্ত করিয়া লইল, তাহের বংশ ছাফফার এবং ছামান দুই শাখায় বিভক্ত হইয়া থোরাছান বিভাগ করিয়া লইল, এবং আৰ্ম্মেনীয় ও কুর্দিস্তানে ছাজেদ ও আলিবংশের অভু্যত্থান হইল । স্বল্পকাল মধ্যে তুলুন বংশের পতন হয় এবং ইক্ষিং নামক একটা নূতন বংশ তুলন-প্রভুত্ব গ্রাস করিয়া বসে। অপর দিকে আরবীয় হামাদান বংশ উত্তর মেছোপোটামিয়া, মোছল এবং " ছিন্দার . লইয়া এক রাজ্য গঠন করিয়া বসিল । এইরূপে যে আববাছীয় সাম্রাজ্য ভুকিস্তান চইতে মেছর পর্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল, '৯২৯ খৃষ্টাব্দের মধ্যেই তাহার আয়তন সঙ্কুচিত হইয়া কেবলমাত্র বাৰুদ এবং বছোরায় সীমাবদ্ধ হইয়া আসিল । ইহার পরেও ৪০ বৎসর বাবৎ খলিফ নামমাত্র হইলেও কিছু ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন, কিন্তু যখন ব্যুওয়া বংশ ছামানবংশের সাহায্যে সমগ্র পারঙ্গ করতলগত করিয়া লইল, তখন খলিফা মোস্তাকৃফি নিঃসহায় এবং নিরুপায় হইয়া বাওয়া বংশের নিকট আত্মসমর্পণ পূর্বক তুর্ক শরীররক্ষিগণের নাগপাশ হইতে ‘মুক্তির জন্ম সাহায্য প্রার্থনা করিলেন। বাওয়া