পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*や মোছলেম জগতের ইতিহাস । তোগ্রল বে এবং ইব্রাহিম নেয়াল পরম্পর ভ্রাতৃসুত্রে আবদ্ধ থাকিলেও প্রত্যেকে স্বাধীনভা লাভের জন্য ব্যস্ত হইলেন। ছাগর বের মৃত্যুর পর তোগ্রল বে ইব্রাহিমকে নিহত করিয়া স্বয়ং সমগ্র ছেলফ্লুক রাজ্যের অধীশ্বর হইলেন। তোগ্রেলের পর ছাগর পুত্র আলপ-আর-ছালান সিংহাসনে আরোহণ করেন । আল্প-আর-ছালান জনৈক পারশিক কর্তৃক নিহত হন। তৎপরে মালিক শাহ সিংহাসনে আরোহণ করেন। ১৭৯৫ খৃষ্টাৰে ছেলছুক সাম্রাজ্য উন্নতির চুরম সীমায় উপনীত হয়। তৎপরে গৃহ বিচ্ছেদ আরম্ভ হয় এবং উহার ফলে তুর্কী সাম্রাজ্য ংস্থাপিত হয় । আকবছি বংশের শাসনল প্রণালী— আববাছীয়গণ জাতিবর্ণ নিৰ্ব্বিশেষে ৫০০ বৎসরের অধিক কাল সাম্রাজ্য শাসন করিয়াছিলেন। বাদশাহ কেবল শাসন বিভাগের অধ্যক্ষ ছিলেন না, তিনি প্রজাতন্ত্রের নেতা ও আমিরুল মোমেনিন ছিলেন। বাদশাহগণ র্তাহার জীবদ্দশায় উত্তরাধিকারী মনোনীত করিতেন। তৎপরে সাম্রাজ্যের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান প্রধান কৰ্ম্মচারিগণ আসিয়া তাহার নিকট বায়ত গ্রহণ করিত। এই বায়ত গ্ৰহণানুষ্ঠান মঙ্গ-সমারোহের সহিত সম্পন্ন হইত। উমীয়বংশের রাজত্বকালে বাদশাহগণ অনেক পরিমাণে স্বেচ্ছাচারী ছিলেন। আববাছীয় রাজত্বের প্রথমাংশেও ঐ প্রণালী অনুস্থত হইত। কিন্তু প্রসিদ্ধ মামুনের রাজত্বকালে স্বেচ্ছ্বাতন্ত্র নিয়মতন্ত্রে পরিণত হয়। বাদশাহ একটা শাসন পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত হইতেন। উক্ত পরিষদ সকল শ্রেণীর প্রতিনিধি দ্বারা গঠিত হইত। কোন প্রদেশে দীর্ঘকালের জন্য কোন শাসনকৰ্ত্ত নিযুক্ত হইত না। গুপ্তসংবাদ সংগ্রহের জন্য স্থানে স্থানে দূত নিযুক্ত থাকিতৰ সাম্রাজ্যের সুখ শান্তি বিধানই আবঝছীয় দিগের প্রধান কাম ছিল। রাজ্য বিস্তার তাহদের উদেখ ছিল না।