পাতা:ম্যালেরিয়া - দয়ালকৃষ্ণ ঘোষ.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ম্যালেরিয়া।
৯৯

বিশেষ ফল প্রাপ্ত হওয়া যায়। ইপিক্যাকুয়ানা তরুগ্রে রক্তামাশার অদ্বিতীয় ঔষধ বলিলেও কিছু মাত্র অত্যুক্তি হয় না। আত্রায় ইহা বমনকারক কিন্তু অধিক মাত্রায় সচরাচর বমন হয় না। প্রদহিত অস্ত্রের শ্লেষ্মা নিঃসরণ এবং যকৃৎ ও অন্ত্রের কৈশিক নাড়ীর রক্ত সঞ্চালন প্রকৃতিস্থ করিয়া ইহা উপকার প্রদর্শন করে। ক্লোরাইন, ১৫ মিনিম কিম্বা ২ গ্রেণ অহিফেন ইপিক্যাকুয়ানা প্রয়োগের ২০ মিনিট পূর্বে সেবন করাইতে হইবে। এতৎ সেবনে ইপিকাকুয়ানার বমনশক্তি নিবারিত হয়। উত্তপ্ত তিশির পুলটিসের উপর এক কিম্বা দুই চামচ মসটার্ড ছড়াইয়া দিয়া উহা উদরোপরি প্রয়োগ করিতে হইবে। তদনন্তর ৩০ হইতে ৪০ গ্রেণ ইপিক্যাকুয়ানা এক মাত্রায় মিউসিলেজ জলের সহিত সেবন করাইলে রোগী প্রায় আরোগ্য হয় এবং দ্বিতীয় মাত্রার আবশ্যক হয় না। যদি আবশ্যক হয়, ৬, ১১ কিম্বা ২৪ ঘণ্টা পর একবার মাত্র দিবে।

 যদি প্রদাহ বর্ধিত হইয়া বিধানোপাদন সমূহ বিকৃত হইয়া পড়ে তাহা হইলে পীড়িত বিধান (Structures) সকলকে যথাসাধ্য বিশ্রাম দিতে ও রোগীকে সবল রাখিতে হইবে। এজন্য প্রথমতঃ ইপিকাকুয়ানা তদপর বলকারক, সঙ্কোচক এবং অহিফেন ঘটিত ঔষধ সমস্তের উপর নির্ভর করিতে হইবে। যদি রোগী অত্যন্ত দুর্বল হইয়া পড়ে, স্যালিস, কুইনাইন, সিন্‌কোনা, কসকে-