পাতা:ম্যালেরিয়া - দয়ালকৃষ্ণ ঘোষ.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০
ম্যালেরিয়া।

অতিক্রম পূর্ব্বক নদীর অপর পার কেহ যাইলে বিনা জ্বরে কাহাকেও প্রত্যাগত হইতে দেখা যায় না। যদিও এপার বালুকাময় ও সম্পূর্ণ শুষ্ক এই সকল ঘটনার দ্বারা প্রমাণ হইতেছে যে বৃক্ষ লতাদি পচিয়া ম্যালেরিয়া উৎপন্ন হয় এমত নয়। যেখানে উদ্ভিদ বিগলিত হইতেছে তথায় হয়ত জ্বর নাই। আবার যেথানে বৃক্ষ লতাদির কোন সম্পর্কই নাই সেখানে হয়ত জ্বরের প্রাদুর্ভাবের পরিসীমা নাই। বঙ্গদেশের প্রায়ই সর্বত্রই অধুনা জ্বর। দৃষ্টিগোচর হয়, বঙ্গদেশের মধ্যে যে যে স্থল পূর্বে স্বাস্থ্যকর ও স্বাস্থ্যের আদর্শস্বরূপ ছিল, সে সে স্থানও সম্পূর্ণ পীড়াদায়ক হইয়াছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, কি কারণ বশতঃ এই অনিষ্টকর পরিবর্ত্তন হইল তাহা আমাদের মধ্যে অল্প লোকই অনুসন্ধান করেন। পরাধীনতা প্রযুক্ত আমাদের স্বাধীন চিন্তারও বিলোপ হইয়াছে। ইংরাজরা আমাদের নাসিকা, কর্ণ, চক্ষু, জ্ঞান ও চিন্তার স্বরূপ হইয়াছেন। তাঁহারা যদি বলেন যে বন জঙ্গল না কার্টিলে আমাদের দেশীয় জ্বর তিরোহিত হইবে না, আমরা অমনি তাহাই বিশ্বাস করিলাম; আমরা একবারও ভাবিলাম না, বন জঙ্গল কেন জ্বরের কারণ হইল। বঙ্গদেশের পূর্ব্বকার অবস্থা যদি আমরা পর্য্যালোচনা করিয়া দেখি তাহা হইলে নিশ্চয়ই প্রতীত হইবে যে ভারতবর্ষ ইংরাজদিগের শাসনাধীন হইবার পূর্ব্বে ইহার অনেক স্থান অপেক্ষাকৃত বনপূরিত ছিল। মুসলমানদিগের সময়