পাতা:ম্যালেরিয়া - দয়ালকৃষ্ণ ঘোষ.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ম্যালেরিয়া।
১৯

সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম ঘটনাও আমরা এপর্য্যন্ত সম্পূর্ণ পরিজ্ঞাত নহি। অনেক সময়ে কল্পনা ও বিবেচনা দ্বারা ইহার কার্য্যের বিষয় সিদ্ধান্ত করি, যে স্থানে ইহার পরমাণু ষত অধিক সেখানে জ্বর তত শীঘ্র উৎপন্ন ও অনিষ্টকর হয়। ব্যক্তি বিশেষে ইহার ক্ষমতার হ্রাস বৃদ্ধি দেখিতে পাওয়া যায়। ডাং ফারগুসন সাহেব বলেন, নিগ্রোরা কোন বিশেষ স্বাভাবিক গুণ অথবা ত্বকের বিশেষ কোন অবস্থা বশতঃ ম্যালেরিয়া হইতে মুক্ত থাকে। জলাভূমিতে যে বিষ উৎপন্ন হয় তাহা তাহাদের পক্ষে অনিষ্টকর নয়। বৃক্ষ লতাদি পচিয়া যে সকল নিম্ন ভূমি হইতে অপকারক বাষ্প নিষ্ক্রান্ত হইতে থাকে সেই সকল স্থান তাহাদের পক্ষে স্বাস্থ্যকর। এমত স্থানে তাহারা আনন্দে থাকে এবং স্ফুর্ত্তি সহকারে দীর্ঘ কাল জীবিত থাকে। যে সময় বসন্তানিল প্রবাহিত হইয়া শ্বেতচর্ম মনুষ্যদিগকে পীড়া সম্বন্ধে অভয় দান করে, তখন তাহাদিগের মনে স্ফুর্ত্তি থাকে না। ইংরাজও নিগ্রো সম্বন্ধে ডাং ফারগুসন এই রূপ লিখিয়াছেন।

 ভূমির উচ্চতা ও নিন্নতানুসারে জ্বরের হ্রাস ও বৃদ্ধি দেখিতে পাওয়া যায়। উচ্চ স্থানে জল অধিকক্ষণ থাকিতে না পাইয়া নিম্নভূমিতে গিয়া অবস্থিতি করে। যে নিম্নভূমি হইতে ম্যালেরিয়া বহিষ্কৃত হইতে থাকে, তাহা জল দ্বারা আবৃত হইলে আর তখন পীড়া থাকে। কিন্তু উর্দ্ধস্থিত স্থান সকল তৎকালে তৎপরিবর্ত্তে