পাতা:ম্যালেরিয়া - দয়ালকৃষ্ণ ঘোষ.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ম্যালেরিয়া।
২১

পাওয়া যায়, যাহারা তিন চার বৎসর পর্যন্ত ম্যালেরিয়ার ক্ষমতাকে উপেক্ষা করিয়াছে, কিন্তু সেই ব্যক্তিরাই আবার কোন কারণ বশতঃ একবার দুর্ব্বল হইয়া পড়িলে আর উহার হস্ত এড়াইতে পারে না।

 অভ্যাস এক প্রকার দ্বিতীয় স্বভাব। কোন স্থানের জল বায়ু কোন ব্যাক্তিকে প্রথমতঃ সহ্য হইতে না পারে, কিন্তু কিছুদিন তথায় বাস করিলে তথাকার জল বায়ু অভ্যস্ত হইয়া যায় এবং পীড়াদায়ক হয় না। যাহারা ম্যালেরিয়াক্রান্ত দেশে কখন বাস করে নাই, তাহারা প্রথমতঃ তেমন স্থানে আসিয়া অল্পদিন থাকিতে না থাকিতেই ভয়ানক পীড়াগ্রস্ত হয়। ১৮৭০ খৃঃ অব্দে কানপুর হইতে কোন স্ত্রীলোক দুইটী কন্যা ও একটী পুত্র সহিত হুগলি জেলার অন্তর্গত অমর-পুর গ্রামে আসিয়া প্রায় এক বৎসর বাস করে। এই সময়ের মধ্যে ম্যালেরিয়ার দ্বারা দুইটী কন্যা বিনষ্ট হয় বালকটী যদিও অনেক চেষ্টার দ্বারা রক্ষা পায়, কিন্তু প্লীহা ও যকৃৎ পীড়াগ্রস্ত হইয়া প্রায় মৃতবৎ হয়। মাতা প্লীহা জ্বরে বহু কষ্ট ভোগ করিয়া পুত্রটীকে লইয়া কানপুর প্রত্যাগমন করেন। কিছু দিন থাকিয়া উভয়ে পীড়ার হস্ত হইতে মুক্তি লাভ করেন। যৎকালে এই স্ত্রীলোকটী তাহার পুত্র কন্যার সহিত জ্বর ভোগ করেন তখন তাঁহার বাটীর অপর কাহারও কিম্বা প্রতিবাসীদিগের মধ্যে জ্বর প্রায়ই দেখিতে পাওয়া যায় নাই। এই রূপ