পাতা:ম্যালেরিয়া - দয়ালকৃষ্ণ ঘোষ.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৮
ম্যালেরিয়া।

হইত না। একটা বৃহৎ পুষ্করিণীতে উহা সঞ্চয় করিয়া প্রথমতঃ রাখা হইত এবং তৎপরে ঐ স্থান হইতে নানা স্থানে প্রেরিত হইত। ঐ পুষ্করিণীটী দৈবাধীন এই সময়ে নষ্ট হইয়া যায় এবং তথাকার নগরাধ্যক্ষ তত্রস্থ জলার জল সংগ্রহ করেন। ভারসেলিস নিবাসীরা কেহই এই নূতন জল ব্যবহার করেন নাই। কিন্তু পূর্বোক্ত সাহেবদ্বয় ও একদল অশ্বারোহী সৈন্য কেবল উহা পান করিত বলিয়া ইহারা সকলেই জ্বরগ্রস্ত ও অনেকেই মৃত্যু গ্রাসে পতিত হয়।

 ১৮৩৪ খৃঃ অব্দে জুলাই মাসে তিন শত সৈন্য সুস্থ শরীরে একদিনে তিনভাগে বিভক্ত হইয়া বোনা হইতে তিনচালানে প্রেরিত হয়। একদিনেই সকলে মারসেলিসে একত্র আসিয়া উপস্থিত হয়। এই তিন খানি জাহাজস্থ লোক এক প্রকার নিয়মে সুরক্ষিত হয় এবং একই প্রকার খাদ্য ভক্ষণ ও বায়ু সেবন করে। ইহার মধ্যে এক খানি জাহাজে ১২০ একশত কুড়ি জন সৈন্য ছিল। তন্মধ্যে ১৩ জন কঠিন জ্বরাক্রান্ত হইয়া প্রাণত্যাগ করে ৮৮ জন পীড়িত হওয়ায় মারসেলিসের হাঁসপাতালে প্রেরিত হয়। অনুসন্ধানে প্রকাশিত হইয়াছিল যে ঐ পীড়িত জাহাজ শীঘ্র যাত্রা করিবার জন্য বোনার নিকটস্থ একটী জলা হইতে পানীয় জল সংগ্রহ করিয়া লয়। অপর দুইখানি জাহাজের জন্য নির্মল জল গ্রহণ করা হয়, এবং ইহাদের কোন আরোহীর পীড়া হয়