পাতা:ম্যালেরিয়া - দয়ালকৃষ্ণ ঘোষ.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ম্যালেরিয়া।
৪৩

ঘটনা কদাচিৎ। আট বৎসরের মধ্যে কেবল দুইটী এইরূপ রোগী আমি দেখিতে পাইয়াছি; একটী শুলতানগাছার চিকিৎসালয়ে, অপরচী আমার বাহিরের চিকিৎসায়। এই দুইটীরই পরিণাম মৃত্যু। যে বালকটিকে চিকিৎসালয়ে দেখা যায় তাহার বয়ঃক্রম ১০ দশ বৎসর। যংকালে বালকটীর মাতা উহাকে চিকিৎসালয়ে লইয়া আইসে তখন উহার নাভি-গহ্বর হইতে পূযনির্গত হইতে ছিল। প্লীহাটী নাভির নিম্নে এক ইঞ্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাইয়াছিল। প্রথমতঃ আমার বোধ হইয়াছিল যে পূয কেবল অধস্ত্বচ মাংসপেশীর সন্নিকট হইতে বহির্গত হইতেছে, কিন্তু প্রোব ও অণুবীক্ষণ দ্বারা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পারা গেল যে উহা প্লীহা হইতে। প্লীহার যে অংশ হইতে পূ্য নির্গত হইতেছিল তাহা য়্যাব‍্ডোমিনেল ওয়ালেতে সংযুক্ত হইয়াছিল।

 আমাদের প্রদেশে প্লীহার পীড়া যত সাধারণ যকৃতের তত নয়। সবিরাম জ্বর যেমন প্লীহার পীড়ার কারণ, ক্ষণবিরাম (remittent fever) জ্বর যকৃতের পক্ষে তদ্রুপ। সাধারণতঃ সবিরাম ও ক্ষণবিরাম জ্বরের উপর প্লীহা ও যকৃতের পীড়া নির্ভর করে। অধুনা বঙ্গদেশীয় ম্যালেরিয়া জ্বরে যকৃতের প্রদাহ প্রথমতঃ দৃষ্টিগোচর হয় না। প্রায়ই প্লীহাব পীড়া কিছুদিন অগ্রে হইয়া উহার বিবৃদ্ধতা স্থিত হয়, তাহার পর এক প্রকার মৃদু অবিরাম জ্বরের সহচর বা অনুগামী হইয়া যকৃতের রক্তাবরোধ বা