পাতা:ম্যালেরিয়া - দয়ালকৃষ্ণ ঘোষ.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ম্যালেরিয়া।
৬১

প্রয়োগ করিতে লাগিলাম। ইহাতে দেখিলাম কিছু ফল দর্শিল না, কি করি, যত পারিলাম ওষধিতে পাকস্থলি পূর্ণ করিতে লাগিলাম। যদি এরূপ করিয়াও রোগীর মৃত্যু হয় বুঝিলাম ও সকলকে বুঝাইলাম যে পরমায়ু ছিল না। আমাদের ও রোগীর আত্মীয়দিগের আশা ও ভাবনা নিবৃত্ত ছুইল।

 আমি পূর্ব্বে বলিয়াছি যে এক্ষণকার রোগীদিগের বলাভাবাপন্নতা বশতঃ প্রথম হইতেই বলকারক ও উত্তেজক ঔষধির আবশ্যক। কিন্তু সেই জন্যই যে, সকল রোগীর পক্ষে ইহা বিধি, এরূপ স্থির করা উচিত নহে। প্রত্যেক ব্যক্তির ধাতু, বল, এবং শরীরের ও পীড়ার অবস্থানুসারে উত্তেজক ঔষধির মাত্রা ও আবশ্যকতা বিবেচনা পূর্ব্বক স্থির করিতে হইবে। ক্রমাগত অধিক মাত্রায় উত্তেজক ঔষধি সেবনে শরীর অবসন্ন, রক্ত বিষাক্ত ও মৃত্যু নিকটাগত হয়। অতএব উত্তেজক প্রয়োগ সম্বন্ধে দুইটি প্রশ্ন উত্থিত হইতেছে। প্রথম, সল্প বিরাম জ্বরের বিকারাবস্থায় কতক্ষণ পর্যন্ত উত্তেজক ব্যবহার্য্য, দ্বিতীয়, কখনই বা উহা হইতে নিবৃত্ত হওয়া উচিত। এই প্রশ্নদ্বয় মিমাংসা করা অতি কঠিন। এই রোগের চিকিৎসায় বহুদর্শিতা লাভ ভিন্ন কথায় বুঝাইয়া দেওয়া অসম্ভব। তবে দুই একটি কথা না বলিয়াও নিবৃত্ত হইতে পারি না। যদি মল মূত্র, ঘর্ম্ম প্রভৃতি নিঃস্রাবাদি অতিরিক্ত পরিমাণে নিঃসৃত না