পাতা:ম্যালেরিয়া - দয়ালকৃষ্ণ ঘোষ.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮০
ম্যালেরিয়া।

ঔষধির সৃষ্টি করিয়া রাখেন নাই তাহাই বা কে বলিতে পারে। আমরা যদি শারীরস্থানিক, শারীর বিধান ও রসায়ন শাস্ত্র বিশেষ রূপ পরিজ্ঞাত হইয়া ভারত কানন ও গর্ভে প্রবেশ করিয়া ঔষধির জন্য গবেষণা করি, কতই অমূল্য ঔষধ নিধি প্রাপ্ত হইতে পারি।

 আমাদের দাতব্য চিকিৎসালয়ে যে সমস্ত দেশীয় জ্বর ঔষধি সর্ব্বদা ব্যবহৃত হয় তাহাদের বিষয় নিয়ে লিখিত হইতেছে।

 ১। নিম-নিমের ছালের ভিতরকার শ্বেতবর্ণস্তর জ্বরঘ্ন এবং বহিরত্বক সঙ্কোচক। এই শ্বেতবর্ণ স্তর হইতে ডিকক‍্সন্ ও টিংচর প্রস্তুত হয়। নিমের ডিকক‍্সন্ সিন‍্কোনা ডিকক‍্সনের অপেক্ষা অধিকতর বল কারক এবং জ্বরঘ্ন এজন্য সিন‍্কোনার পরিবর্ত্তে নিম ব্যবহারে অধিকতর ফল প্রাপ্ত হওয়া যায়। নিমের ছাল হইতে এক প্রকার এক‍্ষ্ট্রাক‍্ট প্রস্ত‌ুত করিতে পারাযায় তাহার জ্বরঘ্ন শক্তি ডিকক‍্সন্, অপেক্ষাও অধিক। কম‍্পাউণ্ড ডিকক‍্সন্ অফ নিম —যে প্রকারে ইহা প্রস্তুত করিতে হয় তাহা পূর্ব্বে উল্লিখিত হইয়াছে। লাইকার আরসেনিকের সহযোগে ইহা তিন চারি দিন সেবন করিলে যে প্রকার সবিরাম জ্বর হউকনাকেন প্রায় সর্ব্বদা নিশ্চয় আরোগ্য হয়। এই এক‍্ষ্ট্রাক‍্ট প্রতি দিন প্রস্তুত করিতে হইবে। এক দিনের অধিক রাখিলে পচিয়া যায়।

 ২। গুলঞ্চ—ইহার প্রয়োগ রূপ টিংচার, ইনফিউজন,