'e ది শুক্র উবাচ অধৰ্ম্মাৎ ত্বাং বিমুঞ্চমি বরং বরয় চেন্সিভম। অক্সিন বিবাহে ত্বং শ্লাম্ব্যে রহো পাপং মুদামি তে ॥ ৩৪ বহুস্ব ভাৰ্য্যাং ধৰ্ম্মেণ দেবযানীং শুচিস্মিতাম্। অনয়া সহ সম্প্রীতিমতুলাং স মবাধুহি ॥৩৫ ইয়ঞ্চাপি কুমারী তে শৰ্ম্মিষ্ঠ বার্ষপৰ্ব্বণী । সম্পূজ্য সস্ততং রাজন ন চৈনং শয়নে হৱয় ॥ শৌনক উবাচ। এবমুক্তে যযাতিপ্ত শুক্রং কৃত্ব প্রদক্ষিণম্। জগাম স্বপূরং হৃষ্টঃ সোহুমুজ্ঞাতো মহাত্মন ॥৩৭ ইতি শ্ৰীমাংস্তে মহাপুরাণে সোমবংশে যযাতিচরিতে ত্রিংশোহুধ্যায় ॥ ৩• ॥ করায় বর্ণসঙ্কর জষ্ঠ পাপ যেন আমায় স্পর্শ না করে ; আমি আপনার নিকট এই বল্প প্রার্থনা করিতেছি । শুক্রাচার্য্য বলিলেম-অধৰ্ম্ম হইতে তোমাকে বিমুক্ত করিতেছি, তুমি ঈপ্সিত বর প্রার্থনা কর। এই বিবাহে তুমি প্লাষ্য হইবে এবং তোমার পাপাপনোদন হইবে । এই সুচিস্মিত দেবযানিকে তুমি ধৰ্ম্মানুসারে বিবাহ কর এবং ইহার সহিত অতুল প্রতি অনুভব কর । আর এই যে বৃষপৰ্ব্বত্বহিত কুমারী শৰ্মিষ্ঠ, ইহাকে সৰ্ব্বদা সম্মান করিবে। কিন্তু শয়নে ইহাকে কদাচ অtহরান করিও মা ! শৌনক বলিলেন,—যযাতি মহাত্মা গুঞ্জগচাৰ্য্য কর্তৃক এইরূপে অমুজ্ঞাত হুইয়া {ষ্ঠাহাকে প্রদক্ষিণ করত হৃষ্টাস্তঃকরণে স্বপুরে প্ৰস্থান করিলেন। ৩২—৩৭ । ত্রিংশ অধ্যায় সমাপ্ত ॥ ৩e • মৎস্তপুরাণম্ একত্রিংশোই প্যায়ঃ শেনিক উবাচ। যযাতিঃ স্বপুরং প্রাপ্য মহেশ্রপুরসন্নিতম । প্রবিগুীন্তঃপূরং তত্র দেবযানীং স্তবেশয়ৎ ॥১ দেবযান্তাশ্চান্থমতে মুতাং তাং বৃষপৰ্ব্বণঃ । অশোকবনিকাভ্যাসে গৃহং কুত্ব স্তবেশল্পৎ ॥২ বৃতাং দাসীসহশ্রেণ শৰ্ম্মিষ্ঠামামুরায়শীষ । বাসোভিরল্পপানৈশ্চ সংবিভজ্য সুসংবৃতাম্ম ॥৩ দেবযান্তা তু সহিত: স ৰূপে নহষাত্মজঃ । বিজহার বহনদান দেববমূদিতে ভূশম ॥ ৪ ঋতুকালে তু সম্প্রাপ্তে দেবযানী বরাঙ্গনা। লেভে গর্ভং প্রথমতঃ কুমারণ ব্যজয়িত ॥ ৫ গর্তে বর্ষসহস্ৰে তু শৰ্ম্মিষ্ঠ বর্ষপৰ্ব্বণী । দদৰ্শ যৌবনং প্রাপ্ত ঋতুং সা কমলেক্ষণ ॥ ৬ চিন্তয়ামাস ধৰ্ম্মজ্ঞা ঋতুপ্রাণ্ডেী চ ভামিনী । ঋতুকালশ সম্প্রীপ্তে ন কশ্চিন্মে পতিবৃত: ॥ ৭ একত্রিংশ অধ্যায় । শৌনক বলিলেন,—অনস্তর যযাতি মহেন্দ্রপুর-সন্নিভ স্বপুরে প্রবেশ করিয়া দেবযানীকে অস্তঃপুরে স্থাপন করিলেম এবং দেবযানীর অনুমতিক্রমে সহস্রদাসী-পরিবৃত সেই বৃষপৰ্ব্বস্তুহিত শৰ্ম্মিষ্ঠাকে এক অশোকবনিকার মধ্যে সুন্দর বাসভবন নিৰ্ম্মাণ করাইয়া পৃথকৃ পৃথকৃ স্থান ও অন্ন-পানীয় নির্দেশ করত তন্মধ্যে রক্ষা করিলেন । অনন্তর নহ্যনন্দন বহুকাল যাবৎ দেবযানীসমভিব্যহারে বিহার করিয়া অত্যন্ত মুদ্ৰাধিত হইলেন। অনন্তর ঋতুকাল সমুপস্থিত হইলে দেবযানী গর্ত ধারণপূৰ্ব্বক প্রথমে এক কুমার প্রসব করিলেন। পরে সহস্র বর্ষ অতীত হইলে পর কমলেক্ষণ শৰ্ম্মিষ্ঠা যৌবন-প্রাপ্ত ও ঋতুমতী হইলেন। সেই ধৰ্ম্মাঙ্ক রাজবালা ঋতুমতী হইয়া চিত্ত৷ করিলেন,—আমার ঋতুকাল উপস্থিত, অস্থাপি আমি কাছাকেও পতিরূপে প্রাপ্ত হইলাম না । কোথায়ই বা পাইব ? এক্ষণে ।