পাতা:মৎস্যপুরাণম্‌ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 মৎস্তপুরাণম্ এবং কৃতযুগস্তাদেী সৰ্ব্বজ্ঞে ধুতিমান নৃপ । মৰন্তরাধিপশ্চাপি দেবপুজ্যে ভবিষ্যসি ॥৩২ ইতি শ্ৰীমাৎস্যে মহাপুরাণে মন্থ-বিষ্ণুসংবাদে প্রথমে সর্গে প্রথমোহধ্যtয়ঃ পূঃ ১ { দ্বিতীয়েtহ ধ্যায়ঃ স্থত উবাচ । এবমুক্তো মহস্তেন পপ্রচ্ছ মধুসূদনম্। ভগবন কিয়দ্ভিবর্ষের্ভবিষ্যত্যস্তরক্ষয় । ১ সানি চ কথং নাথ রক্ষিষ্যে মধুসুদন । ত্বয়া সহ পুনর্যোগঃ কথং বা ভবিতা মম " - মৎস্য উবাচ । অল্পপ্রভূত্যনাবৃষ্টিভবিষ্যতি মহীতলে । যাবস্বর্ধশতং সাগ্রং তুর্ভিক্ষমণ্ডভাবহুম ॥ ৩ ততোহুল্পসত্ত্বক্ষয়দণ রশ্ময়ঃ সপ্ত দারুণঃ । সমস্ত জগতের প্রজাপতি হইবে । এই রূপে কৃতযুগের প্রারস্তে তুমিই সৰ্ব্বজ্ঞ ধুতিসম্পন্ন, মৰস্তরাধিপতি, নরপতি হইয়া সুরসমাজের সম্মানিত হুইবে । ২৬-৩ প্রথম অধ্যায় সমাপ্ত ॥ ১ দ্বিতীয় অধ্যায় । স্থত বলিলেন,—ভগবান মৎস্যরূপধর মধুসূদন এই কথা কহিলে, মন্থ জিজ্ঞাসা করিলেন,—ভগবন্‌ ! কত বৎসরে জগৎপ্ৰলয় সঙ্ঘটিত হুইবে ? হে নাথ মধুসুদন । জীবগণকে কেমন করিয়া আমি রক্ষা করিব ? এবং আপনার সহিত পুনরায় আমার সন্মিলনই বা কেমন করিয়া ঘটিবে ? মৎস্য কহিলেন,-আদ্য হইতে মহীমণ্ডলে এক শত বর্ধ পৰ্য্যস্ত অনাবৃষ্টি হুইবে । অনাবৃষ্টির ফলে অচিরেই ঘোর তুর্ভিক্ষ দেখা দিবে। তাহতে জগতের একস্ত অশুভ উৎপন্ন হইবে । অনস্তর দিবাকরের সুদারুণ সপ্ত রশ্মি সপ্তসপ্তের্ভবিষ্যস্তি প্রতপ্ত{ঙ্গারবর্ণিনঃ ॥ ৪ ঔৰ্ব্বানলোহপি বিকৃতিং গমিষ্যতি যুগক্ষয়ে । বিষাগ্নিশ্চাপি পাতালাং সঙ্কর্ষণমুখচু্যতঃ । ভবস্থাপি ললাটোখতৃতীয়নয়নানলঃ ॥ ৫ ত্ৰিজগন্নিদহন ক্ষেণভং সমেষ্যতি মহামূনে।. ' এবং দগ্ধা মইী সৰ্ব্বা যদা স্বাস্তম্মসঙ্গিভঙ্গ ॥ ৬ আকাশমুত্মণ তপ্তং ভবিষ্যতি পরস্তপ । ততঃ সদেবনক্ষত্ৰং জগদযাস্ততি সজ্ঞয়ম ॥ ৭ ংবৰ্ত্তো ভীমনাদশচ জেtণশচণ্ডে বলাহুকঃ । বিহ্যৎপতাকঃ শোণভ সগুৈতে লয়বারিদtঃ ॥ অগ্নি প্রস্বেদসভূতাং প্লাবমিষ্যস্তি মেদিনীম্। সমুদ্রা: ক্ষোভমাগত্য চৈকত্বেন ব্যবস্থিতাঃ । বেদনাবমিমাং গুহ সত্ত্ববীজানি সৰ্ব্বশ: ॥ ১০ আরোপ্য রজ্জ্বযোগেন মৎপ্রদত্তেন সুব্রত । প্রতপ্ত অঙ্গাররাশি বর্ষণ করত ক্রমশঃ প্রাপিগণের সংহার সাধন করিবে । যুগক্ষয়ের উপক্রমে বাড়বানল বিকৃত হুইবে । সঙ্কর্ষণের মুথোদগীর্ণ বিষম বিষগ্নি পাতাল হইতে প্রহর্ভূত হইবে । ভগবান ভবের ললাটো, থিত । তৃতীয় নয়নের অনল-শিখা নির্গত হুইয়া ত্রিজগৎ দগ্ধ করিয়া নিতান্ত ক্ষুদ্ধভাব ধারণ করিবে । হে মহামুনে ! এইরূপে সমগ্র মহী দগ্ধ হইয় যৎকালে ভস্মস্থূপে পরিণত হইবে, তখন সেই অনলতাপে আকাশ দেশ প্রতপ্ত হইবে । অনস্তর দেব ও নক্ষত্রমণ্ডল সহ সমস্ত জগৎ সংহারদশায় উপনীত হইবে । সস্বৰ্ত্ত, ভীমনাদ, দ্রোণ, চণ্ড, বলাহুক, বিদ্যুৎপাত ও কোণ নামক সপ্তসংখ্যক প্রলয়মেঘ ভূত হইবে । তাহারা এই অগ্নিদগ্ধ মেদিনীকে অজস্র বারি বর্ষণে প্লাবিত করিবে । সমুদ্র সকল ক্ষুব্ধ হইয় একাকারে অবস্থান করিবে এবং এই জগন্দ্রয়কে একীর্ণবে পরিণত করিয়া তুলিবে । ১–৯ । হে স্বত্রত ! ঐ সময় তুমি মৎপ্রদত্ত রজু দ্বারা এই বেদ-নৌকা গ্রহণ করিয়া তদুপরি সর্বপ্রাণীর বীজ রাশিকে আরোপিত