পাতা:মৎস্যপুরাণম্‌ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চচত্বারিংশেtছ ৭্যtল্পঃ । পঞ্চচত্বারিংশোইধ্যায়ঃ । হুত উবাচ। গান্ধারী চৈব মাদ্ৰৗ চ বৃষ্ণিভার্ষ্যে বভূবতু । গান্ধারী জনয়ামাস সুমিত্ৰং মিত্ৰনদনম ॥ ১ মাষ্ট্ৰী যুধাজিতং পুত্ৰং ততো বৈ দেবমৗঢ় যম । অনমিজং শিবিঞ্চৈব পঞ্চমং কুতলক্ষণমূ f২ অনমিত্ৰস্থতো নিয়ে নিম্নস্তাপি তু দ্বে স্বতে৷ প্রসেনশ্চ মহাবীৰ্য্যঃ শক্তিসেনশ্চ তাবুভৌ ॥৩ স্বমস্তকঃ প্রপেনস্ত মণিরত্নমন্ত্রজমস্ । পৃথিব্যাং সৰ্ব্বরত্বনাং রাজা বৈ সেহুিভবম্মণিঃ হৃদি কৃত্ব তু বহুশো মণিং তথভিযাচিতঃ । গোবিন্দোহপি ন তং লেভে শক্তোহপি ন জহtয় সঃ । ৫ কদাচিন্থগয়াং যতঃ প্রসেনস্তেন ভূষি যথাশব্দং স শুশ্ৰীব বিলে মৃত্ত্বেন পূরিতে ॥ ৬ ততঃ প্রবিশু স বিলং প্রসেনো ঋক্ষমৈক্ষত । পঞ্চচম্বারিংশ অধ্যায় । হুত বলিলেন,-গান্ধারী ও মাত্রী, ইহঁরা জুই জন বৃঞ্চির ভার্ষ্য । গান্ধারী সুমিত্র ও মিত্ৰনন্দন নামে দুই পুত্র প্রসব করেন । মাদ্রী-যুধাজিৎ, দেবমীচুষ, অনমিত্র, শিবি, ও কুতলক্ষণ, এই পঞ্চ পুত্র প্রসব করেন । অনমিত্রের পুত্র মিক্স ; তৎপুত্র—মহাবীৰ্য্য প্রসেন ও শক্তিসেন । স্তমস্তক নামক প্রসেনের এক অমুত্তম মণিয়ত্ব ছিল। ঐ মণি, মণি-জগতের রাজা ছিল। প্রসেন ঐ মণি হৃদয়ে ধারণ করিতেন । গোবিন্দ বহুবার ভঁtহার নিকট ঐ মণি প্রার্থনা করিস্নাও পান নাই ; পৰ্ব্বস্তু ক্ষমতা সত্ত্বেও তিনি তাহু। হরণ করিবার চেষ্টাও করেন নাই । কদাচিৎ প্রসেন ঐ মণিভূষিত হইয়া মৃগয়া যাত্র করেন, মৃগয়ায় গমনপূৰ্ব্বক তিনি কোন এক হিংস্ৰ জন্তু-পূরিত গর্ভ মধ্যে হিংস্ৰ জন্তুর শব্দ শ্রবণ করেন। অনস্তর ঐ বিলে তিনি প্রবেশ করিয়া এক ভল্লুককে অবলোকন \లిపి ঋক্ষ প্রসেনঞ্চ তথা ঋক্ষঞ্চৈব প্রসেনজিৎ ॥ ৭ হত্বা ঋক্ষঃ প্রসেনত্ত্ব ততস্তং মণিমাদদtৎ । অদৃষ্টণ্ড হতস্তেন অন্তর্বিলগতস্তদা। ৮ প্রসেনত্ত্ব হুতং জ্ঞাত্বা গোবিন্দঃ পরিশঙ্কিতঃ । গোবিন্দেন হতে ব্যক্তং প্রসেনো মণিকারণাৎ প্রসেনস্ত গতোহরণ্যং মণিরত্বেন ভূষিতঃ তং দৃষ্ট স হতস্তেন গোবিন্দঃ প্রত্যুবাচ হ। হস্মি চৈনং ত্বরাচারং শাকভুতং হি বৃঞ্চিযু ॥১০ অথ দীৰ্ঘেণ কালেন মৃগয়াং নির্গতঃ পুনঃ । যদৃচ্ছয়া চ গোবিন্দো বিলস্তাভ্যাসমাগমৎ ॥১১ তং দৃষ্টা তু মহাশবং স চক্রে ঋক্ষরীড়বলী । শব্দং শ্ৰুত্ব! তু গোবিন্দঃ খড়গপাণিঃ প্রবিগু স: অপশুজ্জাম্ববস্তং তমুক্ষরাজং মহাবলন ॥ ১২ ততস্তৃর্ণ হৃষীকেশস্তমৃক্ষপঙ্গিমঞ্জস । জাম্ববস্তং স জগ্ৰাহ ক্ৰোধসংরক্তলোচনঃ ॥ ১৩ করেন । দর্শনমাত্রে ঐ ঋক্ষ তাহাকে আক্রমণ করে, এবং তিনিও ঋক্ষকে আক্রমণ করেন। কিন্তু প্রসেন ঋক্ষহস্তে নিহত হইলেন । তাহার বক্ষস্থিত স্তমস্তক মণি ঋক্ষ গ্রহণ করিল। প্রসেন অগোচরে নিহত হও য়ায় সকলে গোবিন্দকেই হত্যাকারী বলিয়৷ সন্দেহ করিল এবং প্রকাণ্ডেই বলতে লাগিল যে, গোবিন্দ প্রসেন-সন্নিধানে বহুবার মণি প্রার্থনা করিয়া মণি প্রাপ্ত হন নাই ; মণি লালসায় তিনিই মৃগয়াগত প্রসেনকে নিহত করিয়া মণি গ্রহণ করিয়াছেন । এরূপ মিথ্য। রটনায় দুঃখিত হইয়া গোবিন্দ বলিলেন,— আমি এই মণিচোর বৃষ্ণিশক ত্বরাচারকে নিশ্চয় নিহত করির । ১—১০ । অনস্তর দীর্ঘকাল গত হইলে একদা গোবিন্দ মৃগয়া ব্যপদেশে যদৃচ্ছাক্রমে সেই রিলসন্নিধানে উপস্থিত হইলেন । ঋক্ষরাজ র্তাহাকে অবলোকন করিয়া বিকট শব্দ করিতে লাগিল। তখন গোবিন্দ খড়গহন্তে বিলপ্রবেশপূৰ্ব্বক মহাবল ঋক্ষরাজ জাম্ববানকে দর্শন করিলেন এবং অবিলম্বে রোয়কষায়িত-গোচনে তাহাকে আক্রমণ কল্পি