পাতা:মৎস্যপুরাণম্‌ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀՎեր প্রায়ুখঃ পূজয়িত্ব তু নমস্তন্নিষ্টদেবতাম্। চন্দ্রগ্রহে বিনিৰ্বত্তে কৃতগোদানমঙ্গলঃ । কৃতস্বর্ণনায় তং পটং ব্রাহ্মণায় নিবেদয়েৎ ॥২০ অনেন বিধিনা যন্ত গ্রহমানং সমাচরেৎ । ন তস্য গ্ৰহপীড়া স্যান্ন চ বন্ধুজনক্ষয় ॥ ২১ পরমাং সিদ্ধিমাপ্নোতি পুনরাবৃত্তিতুর্লভীম । সূৰ্য্যগ্রহে স্থৰ্য্যনাম সদা মস্ত্ৰেষু কীৰ্ত্তয়েৎ ॥ ২২ অধিকাঃ পদ্মরাগাঃ সুIঃ কপিলাঞ্চ শোভনা প্রষচ্ছেচ্চ নিশাম্পত্যে চন্দ্রস্তুর্য্যোপরাগয়োঃ । য ইদং শৃণুয়ান্নিত্যং শ্রাবয়েস্থাপি মানব: | | সৰ্ব্বপাপবিনি"ক্তে শক্রলোকে মহীয়তে ॥২৪ | f ইতি শ্ৰীমাৎস্যে মহাপুরাণে চন্দ্রাদিত্যেপরাগ স্নানবিধির্মম সপ্তষষ্টি তমোহধ্যায়ঃ ॥ ৬৭ ৷ অতিবাহিত করিয়া পূৰ্ব্বমুখে উপবেশনপূর্ববক ইষ্টদেবতাকে পূজা ও নমস্কার করিবে । পরে চন্দ্র গ্রহণ নিবৃত্ত হইলে গে-প্রদানরূপ মঙ্গলকার্য্য সমাধা করিয়া ব্রাহ্মণকে সেই পটবস্ত্র দান করিবে । যে ব্যক্তি এইরূপ বিধানে গ্রহমান সম্পাদন করে, তাহার গ্ৰহপীড়া বা বন্ধুজনবিচ্ছেদ ঘটে না। সে ব্যক্তি পুনরাবৃত্তিরহিত পরম সিদ্ধি প্রাপ্ত | হইয়া থাকে । স্বর্য্যগ্রহণে সৰ্ব্বদা মন্ত্র মধ্যে স্থৰ্য্য নাম কীৰ্ত্তন করিবে, এবং কতিপযু পদ্মরাগ মণি ও একটী সুশোভন কপিলী গাভী সংগ্ৰহ করিয়া চন্দ্র ও স্বৰ্য্যগ্রহণে নিশাপতির উদ্দেশে প্রদান করিবে । যে মানব নিত্য ইহা শ্রবণ করে কিস্ব করায়, সে সৰ্ব্বপাপ হইতে মুক্ত হইয়া ইন্দ্রলোকে বিহার করিয়া থাকে । ১৭—২৪ । সপ্তষষ্টিতম অধ্যায় সমাপ্ত । ৬৭ ৷ শাস্তয়ে তত্র বক্ষ্যামি মৎস্যপুরাণম্। অষ্টষঞ্জিতমোহ ধ্যায়ঃ নারদ উবাচ কিমুদ্বেগাম্ভৃতে কুতামলক্ষ্মীঃ কেন হন্ততে। মৃতবৎসাভিষেকাদি কাৰ্য্যেষু চ কিমিষ্যতে ॥ শ্ৰীভগবানুবাচ । পুরাক্লতানি পাপানি ফলস্ত্যস্মিংস্তপোধন । রোগ-দৌর্গত্যকপেণ তথৈবেষ্টবধেন চ ॥ ২ তদ্বিঘাতায় বক্ষ্যামি সদা কল্যাণকারকম । সপ্তমীমপনং নাম জনপীড়াবিনাশনমূ ॥ ৩ বালানাং মরণং যত্র ক্ষীরপাণং প্রদৃষ্ঠতে । তদ্বদরুদ্ধাতুরাণাঞ্চ যৌবনে চাপি বৰ্ত্ততম্ ॥ ৪ তবৎসাভিষেচনম । এতদেবাছুতে দ্বেগ-চিত্তভ্রমবিনাশনম || ৫ ভবিষ্যতি চ বার হো যত্র কল্পস্তপোধন । বৈবস্বতশ্চ তত্ৰাপি যদ। তু মমুরুত্তমঃ ॥ ৬ অষ্টষষ্টিতম অধ্যায় । নারদ কহিলেন,—উদ্বেগ ও দৈব ছবিপাকে কর্তব্য কি ? অলক্ষ্মী নিবারিত হয় কি করিলে ? এবং মুতবৎসা রমণীদিগের অভিষেকাদি কার্য্যেই বা কোন উপায় শাস্ত্রসম্মত ? ভগবান কহিলেন,—হে তপোধন ! পুরাকৃত পাপসকল ইহকালে রোগ, তুর্গতি ও ইষ্টজন-বিয়োগ দ্বারা ফলিত হয় ; আমি এক্ষণে সেই সকল পাপহর কল্যাণকর এক স্বানের কথা কহিতেছি । এই স্নানের নাম সপ্তমীশ্নান ; ইহা জনগণের সর্বপীড়াহর । স্তম্ভপায়ী শিশুদিগকে অকলে মৃত্যুগ্রস্ত হইতে দেখা যায় ; এইরূপ বুদ্ধ, আতুর এবং যুবকগণও মৃত্যুকবলে পতিত হয় । যাহা হউক, আমি এক্ষণে আকালিক মৃত্যু প্রশমনের নিমিত্ত মৃতবৎসার অভিষেকবিধি বলিব । ইহাতে দৈবস্তুৰ্বিপাক, উদ্বেগ ও চিত্তভ্ৰম বিনষ্ট হইয়া যাইবে । হে তপোধন ! ভবিষ্যতে ষে বারাহ কল্প আসিবে, তাহাতেও উত্তম বৈবস্বত মন্ত্রর উৎপত্তি হইবে ॥১–৬৪