পাতা:মৎস্যপুরাণম্‌ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিসপ্ততিতমোছধ্যায়ঃ । কুৰ্ব্বশ্নশূন্তশয়নং বিষ্ণুলোকে মহীয়তে ॥ ১৯ ইতি শ্ৰীমাংস্তে মহাপুরাণেহশূন্ত শয়নব্রতং নামৈকসপ্ততিতমোহুধ্যায়: ॥ ৭১ ৷ দ্বিসপ্ততিতমোহধ্যায়ঃ । ঈশ্বর উবাচ। শৃণু চান্তম্ভবিষ্যং যদ্রপসম্পদ্বিধায়কম্। ভবিষ্যতি যুগে তস্মিন দ্বাপরাস্তে পিতামহ । পিপ্পলাদস্য সংবাদে যুধিষ্ঠিরপুরঃসরৈঃ ॥ ১ বসন্তং নৈমিষারণ্যে পিপ্পলাদং মহামুনিম । অধিগম্য তদা চেমং প্রশ্নমেকং করিষ্যতি । যুধিষ্ঠিরো ধৰ্ম্মপুত্রে ধৰ্ম্মযুক্তস্তপোধনম ॥ ২ যুধিষ্ঠির উবাচ । কথমারোগ্যমৈশ্বৰ্য্যং মতিধৰ্ম্মে গতিস্তথা । অব্যঙ্গত শিবে ভক্তির্বৈঞ্চবো বা ভবেৎ কথম ঈশ্বর উবাচ তস্তোত্তরমিদং ব্ৰহ্মন পিপ্পলাদস্য ধীমতঃ অশূন্তশয়ন ব্ৰতাচরণের ফলে শতকল্পকাল বিষ্ণুলোকে পূজিত থাকে ৷ ১২-১৯ । একসপ্ততিতম অধ্যায় সমাপ্ত ৷ ৭১ ৷ সপ্তসহস্ৰ হইয়া দ্বিসপ্ততিতম অধ্যায় । ঈশ্বর কহিলেন,—হে পিতামহ । শ্রবণ করুন,—রূপ ও সম্পত্তিবিধায়ক অপর এক ভবিষ্য ব্রতবিবরণ ৰলিতেছি । দ্বাপরযুগের অবসানে যুধিষ্ঠির প্রভূতির সহিত পিপ্পলাদ ঋষির পরস্পর আলাপ হইবে । একদা নৈমিষারণ্যে মহামুনি পিপ্পলাদ সমাসীন থাকিবেন। ধৰ্ম্মপুত্র যুধিষ্ঠির তখন র্তাহার নিকট আগমনপূৰ্ব্বক এক ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় 려 জিজ্ঞাসা করিবেন । যুধিষ্ঠির কহিবেন,— কি করিলে আরোগ্য, ঐশ্বৰ্য্য, ধৰ্ম্মে মতিগতি, অবিকলাঙ্গত, এবং শিবভক্তি হয়, এবং কিরূপেই বা বৈষ্ণব হওয়া যায় ? ঈশ্বর কাহ ՀՅ\3 শৃণুষ যদ্বক্ষ্যতি বৈ ধৰ্ম্মপুত্রায় ধাৰ্ম্মিকং ॥ ৪ পিপ্ললাদ উবাচ । সাধু পুষ্টং ত্বয়া ভদ্র ইদানীং কথয়ামি তে । অঙ্গরব্রতমিত্যেভৎ স বক্ষ্যতি মহীপতেঃ ॥ ৫ তত্ৰাপুদোহরস্তীমমিতিহাসং পুরাতনম্। বিরোচনস্য সংবাদং ভাগবস্ত চ ধীমতঃ ॥ ৬ প্ৰহলাদস্য সুতং দৃষ্ট্র। দ্বিরষ্টপরিবৎসরম। রূপেণাপ্রতিমং কাস্ত্য সোহহসদতৃগুনন্দনঃ ॥৭ সাধু সাধু মহাবাহো বিরোচন শিবং তব । তৎ তথা হসিতং তস্য পপ্রচ্ছ স্বরস্থদনঃ ॥ ৭ ব্ৰহ্মন কিমর্থমেতৎ তে হাস্যমাকস্মিকং কৃতম্। সাধু সাধিবতি মামেবমুক্তবাৎস্থং বদম্ব মে ॥ ৯ তমেবংবাদিনই শুক্র উবাচ বদতাৎবরঃ । বিস্ময়াদবতমাহাত্ম্যাদ্ধাস্তমেতং কৃতং ময়া ॥১০ লেন,—হে ব্ৰহ্মন ! যুধিষ্ঠিরের এইরূপ প্রশ্ন শুনিয়া ধাৰ্ম্মিক ধীমান পিপ্পলাদ, ধৰ্ম্মপুত্রকে যেরূপ উত্তর প্রদান করিবেন, তাহা শ্রবণ করুন । পিপ্পালদ বলিবেন,—হে ভদ্র ! তুমি উত্তম প্রশ্ন করিয়াছ, এক্ষণে আমি তাহার উত্তর বলিতেছি , এই বলিয়। তিনি রাজা যুধিষ্ঠিরকে অঙ্গারব্রত বলবেন । পিপ্পালদ বলিবেন,—রাজন ! এই সম্বন্ধে পুরাণজ্ঞগণ বিরোচন ও ধীমান ভার্গবের ংবাদ-সম্বলিত এক প্রাচীন ইতিহাস কীৰ্ত্তন করিয়া থাকেন। একদা প্ৰহলাদের ষোড়শবর্ষীয় কাস্তি ও রূপে গুণে অতুলনীয় পুত্ৰ বিরোচনকে দেখিয়া তৃগুনন্দন শুক্র হাস্য করিলেন এবং বলিলেন,—বিরোচন! সাধু, সাধু ! তোমার মঙ্গল হউক । সুরারি র্তাহাকে হাসিতে দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, —ব্রহ্মন! আপনার এই আকস্মিক হাস্য কেন ? কি জন্ত আপনি এরূপ হাস্য করিলেন ? আমাকে আপনি সাধু সাধুই বা বলিলেন কেন ? তাহ আমাকে প্রকাশ করিয়া বলুন । ১–৯ ৷ বিরোচন এই কথা কহিলে বাগিবের শুক্র ৰ্তাহাকে বলিলেন,—ওহে বিরোচন ! আমি ত্রতমহাস্থ্যে বিস্মিত হইয়াই