পাতা:মৎস্যপুরাণম্‌ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৫৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তপঞ্চাশদধিকশততমোছধ্যায়ঃ । সগুপঞ্চাশদধিকশততমোছধ্যায়: । দেবুবাচ। মাতরং মাং পরিত্যজ্য যম্মাৎ ত্বং স্নেহবিকবাং বিস্থিতাবসয়ঃ স্ত্রীণাং শঙ্করস্য রহোবিধে ॥ ১ তস্মাৎ তে পরুষ রূক্ষ্য জড় হৃদয়বর্জিত । গণেশ ক্ষারসদৃশী শিলা মাত ভবিষ্যতি ॥ ২ নিমিত্তমেতদ্বিখ্যাতং বীরকস্ত শিলোদয়ে । সোহভবৎ প্রাক্রমেণৈব বিচিত্রাথ্যানসংশ্রয় ॥৩ এবমুখস্থক্টশাপায়া গিরিপুত্র্যাস্বমস্তরম । নির্জগাম মুথাৎ ক্রোধঃ সিংহরূপী মহাবলঃ ॥৪ স তু সিংহ করালাস্তে জটাজটিলকন্ধরঃ । প্রোদ্ভূতলস্বলাঙ্গুলো দংষ্ট্রোৎকটমুখভট; ॥ ৫ ব্যাবৃত্তাস্তে ললজিহবঃ ক্ষামকুকিঃ শিরাদিষু । তস্যাস্তে বৰ্ত্তিতুং দেবী ব্যবস্যত সতী তদা ॥৬ জ্ঞাত্ব। মনোগতং তস্য। ভগবাংশ্চতুরাননঃ । ভাগম্যোবাচ দেবেশে গিরিজাং স্পষ্টয়া গির। সপ্তপঞ্চাশদধিকশততম অধ্যায় । দেবী কহিলেন,—হে গণেশ ! তুমি আমাকে পরিত্যাগ করিয়া স্নেহবৈক্লব্য বশতঃ শঙ্করের নির্জনাবাসে স্ত্রীলোক আসিবার অবসর প্রদান করিলে, এই অপরাধে এক পরুষা, রুক্ষণ, জড়া, হৃদয়বজ্জিত, ক্ষণরতুল্য শিলা তোমার মাতা হইবে। বীরকের শিলা হইতে উৎপত্তি সম্বন্ধে নিমিত্ত এইরূপই বিখ্যাত । এইরূপ প্রাক্রম হইতেই বীরকের বিচিত্র অথ্যান প্রসিদ্ধ হইয়াছিল। যাহা হউক, গিরিপুত্ৰী ঐক্ষপে শাপ প্রদান করিলে, তাহার বদন হইতে এক সিংহরূপী মহাবল ক্ৰোধ প্রান্তর্ভুত হইল । ঐ সিংহ করালচক্র জটাজটিল কন্ধরশালী, দীর্ঘ লাঙ্গুল চালনে তৎপর, দংষ্ট্র দ্বারা উৎকট মুখতট শোভী, বিবৃতানন, লোলজিহর ও ক্ষীণকটি। দেবী শৈলসুতা তখন সেই সিংহের মুখমধ্যে প্রবেশ করিক্তে উদ্যত হইলেন । র্তাহার মনোভিপ্রায় জানিয়া ভগবান চতুরানন আগমনপূর্বক গিরিজাকে স্পষ্টবাকো যেহেতু । @Wや ব্রহ্মেণব{স । কিং পুত্র প্রাপ্তকামসি কিমলভ্যং দদামি তে বিরম্যতামতিক্লেশ৷tৎ তপসেীহুৰ্ম্মান্মদাজ্ঞয় ॥৮ তন্তুত্বোবাচ গিরিজা শুরুং গৌরবগৰ্ভিতম্ বাক্যং বাচা চিরোদগীর্ণবর্ণনির্ণীতবাঞ্ছিতম ॥১ দেবুgবাচ । তপসা দুষ্করেণাপ্তঃ পতিত্বে শঙ্করে ময় । স মাং শুমলবর্ণেfত বহুশ: প্রোক্তবান ভবঃ স্যামহং কাঞ্চনাকার বাল্পভ্যেন * চ সংযুঙ্গ। ভর্তুতপতেরঙ্গমেকতে নির্বিশেহুঙ্কবৎ । ১১ তস্যাস্তদ্ভাষিতং শ্রী ত্বা প্রোবাচ কমলাসনঃ ॥ এবং ভব ত্বং ভূয়শ্চ ভৰ্ত্তদেহাৰ্দ্ধধারিণী ॥ ১২ ততস্তত্যাজ ভৃঙ্গাঙ্গং ফুলুনীলোৎপলভচম ॥১৩ ত্বচ স চাভবদীপ্ত ঘণ্টাহস্ত ত্রিলোচনা নানাভরণপূর্ণাঙ্গী পী ভকৌশেয়ধারিণী ॥ ১৪ বলিলেন, হে পুত্রি! তুমি কি প্রাপ্ত হইতে ইচ্ছা করিয়াছ ? তোমার কোন অলভ্য বদ্ধ দান করিব ? আমার আদেশে তুমি এই অতি ক্লেশকর তপস্যা হইতে বিরত হও । ১—৮ । তৎশ্রবণে গিরিজা সেই গৌরব, গৰ্ব্বিত শুরুকে চিরোদগীর্ণ বর্ণে বাঞ্জিত বিষয় নিণীত করিয়া কহিলেন, আমি দুষ্কর তপস্যা করিয়া শঙ্করকে পতিরূপে প্রাপ্ত হইয়াছিলাম ; কিন্তু তিনি আমাকে শুমেলবর্ণ বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন । অতএব আমি কাঞ্চনবর্ণ ও প্রণয়শালিনী হইয়া ভৰ্ত্ত ভুতপতির অঙ্গসঙ্গিনী হইতে ইচ্ছা করিতেছি । তাহার সেই কথা শুনিয়া কমলাসন কহিলেন,—‘এবমস্ত’ তুমি এইরূপ হুইয়া ভৰ্ত্তার অৰ্দ্ধাঙ্গভাগিনী হইতে পরিবে । ব্ৰহ্মা এই কথা কহিবামাত্র শৈলজা তখন ভূঙ্গাঙ্গ ও ফুল্ল নীলোৎপলতুল্য স্বীয় দেহত্বকু পরিত্যাগ করিলেন । সেই ত্বকৃ হইতে তৎকালে ঘণ্টাহস্ত, ত্রিলোচন, নানা ভূষণভূষিত, পীতকোষেয়ধারিণী নিশাদেবী লাবণ্যেনেড়ি পাঠান্তরঙ্গ