পাতা:যন্ত্রক্ষেত্রদীপিকা.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যন্ত্রক্ষেত্রদীপিকা । “ সঙ্গীতং দ্বিবিধং প্রোক্তং দৃশ্যং শ্রাব্যঞ্চ সুরিভিঃ ৷ ” অপরঞ্চ

  • গীতঞ্চ দ্বিবিধং প্রোক্তং যন্ত্রগত্রিবিভাগতঃ।

যন্ত্রং স্যাৎ বেণুবীণাদি গাত্রস্ত মুখজং মতং । ” পণ্ডিতগণ সংস্কৃত সঙ্গীত শাস্ত্রকে দৃশ্ব ও শ্রাব্যভেদে দুইভাগে বিভক্ত করিয়াছেন। তন্মধ্যে দৃশ্বকে সামান্যতঃ নৃত্য এবং শ্রাব্যকে গীত বলিয়া পরিগণনা করেন। গীত আবার দুইভাগে বিভক্ত, যথা ;-যান্ত্রিক ও গাত্রিক অথবা কাণ্ঠিক । এই নিমিত্ত কেহ কেহ সঙ্গীতকে একেবারেই তিনভাগে বিভক্ত করিয়া থাকেন। আমাদের দেশে যন্ত্র, কণ্ঠ এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, সঙ্গীতসাধনের এই ত্ৰিবিধ উপায় নিৰ্দ্ধারিত আছে। যন্ত্রদ্বারা বাদ্য বা যন্ত্রসঙ্গীত, কণ্ঠদ্বারা গান বা কণ্ঠসঙ্গীত এবং অঙ্গপ্রত্যঙ্গদ্বারা নৃত্যক্রিয়া সংসাধিত হইয়া থাকে। ইহার মধ্যে গানই সৰ্ব্বাপেক্ষা কঠিন, সুতরাং বহু আয়াস ও সময়সাধ্য । বাদ্যক্রিয়া যত্ন ও অভ্যাস করিলে অপেক্ষাকৃত স্বল্পতম আয়াসে আয়ত্ত হয়, আর তালবোধ থাকিলে বোধ হয়, বুদ্ধিমানেরা কিঞ্চিৎ উপদিষ্ট হইলেই নৃত্যের সাৱমৰ্ম্ম অল্পক্লেশে উপলব্ধি করিতে পারেন। কিন্তু বাদ্যসাধনই আমাদিগের এ পুস্তকের উদ্দেশ্ব, মৃতরাং অন্যান্য বিষয়ের বিচাৱণ পরিত্যাগ করিয়া, তাহারই