পাতা:যন্ত্রক্ষেত্রদীপিকা.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যন্ত্রক্ষেত্রদীপিকা । כל কয়েকখানির স্বরলিপির সহিত সম্বন্ধ, প্রথম পাঠার্থাদিগকে সহজে বুঝাইবার জন্য উপরি লিখিত সুরগুলি একাদি সংখ্যাযোগে লিখিত হইয়াছে। ষড় জাদি সপ্ত স্বরের উৰ্দ্ধগতির নাম অমুলোম, যেমন সা, খ, গ, ম, প, ধ, ও নি। সপ্ত স্বরের অধোগতির নাম বিলোম, যেমন নি, ধ, প, ম, গ, ঋ, সা । গায়কের সচরাচর প্রথমোক্ত গতিকে আরোহী এবং শেষোক্তটকে অবরোহী বলিয়া থাকেন। পূৰ্ব্বে কথিত হইয়াছে যে, সা, ধ, গ ও ম ইত্যাদি সাতটা স্বরকে সাতটা ধাতু এবং কআদি বর্ণ উচ্চারণকালকে মাত্রা বলে। প্রাচীন পণ্ডিতদিগের মতে মাত্রা পাচ প্রকার, যথা; হ্রস্ব, দীর্ঘ, খুত, অৰ্দ্ধ এবং অণু সহজে একটা মাত্র লঘু বর্ণ উচ্চারণ করিতে যে সময়ের আবশ্বক, তাহাকে একমাত্র অথবা হ্রস্বমাত্র কাল বলা যায় ; তাহার চিহ্ন এইরূপ ( ) এক একটা দণ্ড ; উদাহরণ যথা ;–সা~ন্ধ ইত্যাদি। দুইট লঘু বর্ণ সহজে উচ্চারণ করিতে যে সময়ের প্রয়োজন, সেই সময়ের নাম দ্বিমাত্র বা দীৰ্ঘমাত্র কাল ; তাহার চিহ্ন এইরূপ ( ) দুইটা দণ্ড, উদাহরণ যথা ;– সা-স্ম ইত্যাদি । তিনটা লঘুবর্ণ উচ্চারণের যে সময়, তাহাকে ত্রিমাত্র অথবা পুতমাত্র কাল কহে, তাহার চিহ্ন এইরূপ (। ) তিনটা দণ্ড, উদাহরণ যথা ;– সাম্ৰষ্ঠ ইত্যাদি। তিন মাত্রীর অতিরিক্ত মাত্রা হইলেও তাহাকে প্লুত মাত্র বলা যায়। তিন মাত্রার অতিরিক্ত যত মাত্রা হইবে, সেই মাত্রার সংখ্যানুসারে উপরি উক্ত দণ্ড চিহ্ন কয়েকটারও সংখ্যা নির্দিষ্ট হইবে । মনে কর যেন কোন স্থানে ছয়মাত্র কালের প্রয়োজন আছে, সে স্থলে সেই ছয়ট মাত্রা লিখিবার জন্য ছয়টা দণ্ড চিহ্ন লিখিতে হইবে, উদাহরণ যথা ;–স"" ইত্যাদি । গানাদিতে প্লুত মাত্রারই অধিক প্রয়োজন দেখিতে পাওয়া যায়। এক মাত্রার অৰ্দ্ধেকটুকু সময়ের নাম ব্যঞ্জন বা অৰ্দ্ধমাত্র কাল, অথবা দুইটা অৰ্দ্ধ মাত্রা উচ্চারণে একমাত্র কাল সম্পন্ন হইয়া থাকে। এইরূপ ( ) অৰ্দ্ধচন্দ্র চিহ্নই অৰ্দ্ধমাত্রাকালজ্ঞাপক চিহ্ন ; উদাহরণ যথা ;–