দিলাম যে ঐসকল কোন আপত্তিতেই কলেরজল অব্যবহার্য হইত্তে । পারে না । সপ্তম প্রশ্ন | গঙ্গাজলে স্পর্শদোষ কতদূৰ বিচাৰ্য্য ? উত্তব। কলিকাতাব যন্ত্রোদ্ধত জল পলতাব গঙ্গাহইতে উদ্ধত হইতেছে, ইহা কাহাবই অবিদিত নাই, তাহ যে মেচ্ছাদিদ্বাবা স্পৃষ্ট হয়, তাহাও সকলে জানেন, গঙ্গাজলেব মাহাত্ম্যপক্ষে অনেক শাস্ত্র আছে, কিছু কিছু সংগ্ৰহ কবিলেও এক খানি দীঘ গ্রন্থ হইতে পাবে। প্রযোজনাভাবনিবন্ধন এস্থলে আমবা সে আয়াস প্রকাশ কবিব না, সামান্যত দুই চাবিট বচন গ্রহণ কবিয়াই মীমাংসা কবিব । পবিত্রতপক্ষে গঙ্গাজল ও জগন্নাথেব মহাপ্রসাদ সমান, যথা— শব্দকল্পদ্রুমধৃত উৎকলগণ্ড বচন । জগন্নাথস্য নৈবেদ্যং গাঙ্গং বারি সমং দ্বয়ম। গঙ্গাব মাহাত্ম্যকে স্তুতিপাঠ বলিলে কুম্ভী পাক নবক প্রাপ্তি হয় ; যথা স্মাৰ্ত্তভট্টাচাৰ্য্যস্কৃত প্রাযশ্চিত্ততত্ত্ববচনঃ— “স্তুতিবাদমিমং মত্ব কুন্তীপাকে মহীয়তে।” অতএব গঙ্গাব যত স্তব ও মাহাত্ম্য বর্ণন আছে, তৎসমস্তই স্বরূপ, ইহা শাস্ত্রকারবর্গই নির্দেশ কবিষাছেন । জগন্নাথেৰ মহাপ্রসাদে স্পৰ্শদোষ নাই ইহা সিদ্ধকথা, মনুষ্যজাতিব স্পর্শে দোষ নাই, এরূপ নহে, মহাপ্রসাদ কুলু রোচ্ছিষ্ট হইলেও মন্থয্যের ভক্ষণে শুচি ও মুক্তিকব; যথা শুদ্ধং পৰ্য্যষিতংবাপি নীতং বা দূরদেশতঃ। কুকুরস্য মুখাদ্ৰষ্টং তদন্নং পাবনং মহৎ ।” কুকুৰ পশুদিগের মধ্যে অস্পৃশ্য, তাহার দৃষ্টিমাত্রেও হৰাকব্যাদি অব্যবহার্ঘ্য হয; ইহা শাস্ত্রবাবদিগের প্রসিদ্ধ মঠ। তদ্ভিন্ন, শাস্ত্রে আবে ।
