{ ৩A ) " গঙ্গা নিজেই দোষাশ্রিত হন । তর্কবাচস্পতি মহাশয়ের মজুরো বাক্যে তাহার অভিধানের অপেয় জলপ্রকরণ পাঠ করিয়া আমি ঐ বচনটা প্রাপ্ত হই এবং তাহ কোন গ্রন্থের বচন, তাহা উক্ত অভিধানে লিখিত না থাকায়, আমার কোন আত্মীয় বাক্তিকে তর্কবাচস্পতির নিকট ঐবিষয় জিজ্ঞাসা করিতে পত্র লিখি। তাহাতে বাচস্পতি মহাশয় উহা কোন, গ্রন্থের বচন তাহা বলিতে পারেন নাই । তাহার ন্যায় নানাশাস্ত্রাধ্যাপকের শাস্ত্রবিষয়ে এরূপ জিগীষাবশত প্রকাশ করা ন্যায়পরায়ণের কাৰ্য্য হয় নাই। তত্ত্বনির্ণয় করা ও বিচারে জয়ী হওয়া এ দুইটা সম্পূর্ণ পৃথক পদার্থ তাঙ্গ তাহার অবিদিত নাই। বাচস্পতি ভট্টাচার্যের, বাগ্র তাতিশব্যদর্শনে আসো হাস্য সম্বরণ করতে পারি না। কেবল ধৰ্ম্মশাস্ত্রে ঐরূপ পণ্ডিত্য প্রকাশ করিয়াই তিনি ক্ষান্ত হন নাই । বৈদ্য শাস্ত্রে ও বিপুলবিদ্যাধন্ত প্রকাশের চেষ্টা করিয়াছেন। তিনি লেখেন— “শশিসূৰ্যকিরণাস্পষ্টতয়া চ তস্য ব্যাপন্নজলতয়া বৈদ্যকোত্তদোষধায়কত্বেনাপি অপেয়তা।” অস্যার্থ। এই জলে চন্দ্র ও সুর্য কিরণ স্পর্শ হয়না, এজন্য বৈদ্যশাস্ত্রমতেও ব্যাপন্ন জলবিধায় ইহার অপেয়তা প্রতিপন্ন হইতেছে । সে জলকে বহুল বিজ্ঞ ডক্তরের অতি প্রশংসনীয় ও অতিশয় স্বাস্থ্য প্রদ বলিয়া নিয়ত ব্যাখ্যা - করিয়া আসিতেছেন, ও যে জল মানপানে কলিকাত নগরবাসী লক্ষ লক্ষ লোক মানাবিধ রোগহইতে বিমুক্তিলাভ করিতেছে, এবং যে জলের গুণে কলিকাত এক্ষণে বিবিধ প্রশংসিত জনপদ অপেক্ষ স্বাস্থ্যকর হইয়াছে। সেই পবিত্র ও নৈরাজাকর জলকে বাচস্পতি বৈদ্যবর অপের ও অস্বাস্থ্যকর লিখিয়া কেনইবা আপন অভিধানের গৌরববৃদ্ধি না করিবেন ? ধৰ্ম্মশাস্ত্রের ব্যবস্থাপক হইয়া এখন তিনি কেনইবা বৈদ্যশাস্ত্রের ব্যবস্থপক্ষ ইষ্টতে প্লেগেন ? তাহ পৃঝিতে পারলাম না।
