( / ) নল দ্বারা কলিকাতার দ্বারে দ্বারে উপস্থিত করণাথ নান স্থানে বিবিধ অনুষ্ঠানে আরম্ভ করেন। তাহাতে স্বল্পকাল মধ্যে সঙ্কল্প সাধিত হইয়াছে, অনুনি চারি বৎসর হইল, নগরবাসিগণ উক্ত মুনিৰ্ম্মল মুরস গঙ্গাজলের স্বাদু লাভ করিয়াছেন এবং বিস্তুচিকা, অজীর্ণ ও সংক্রামক জরাদিও তদবধি অপস্থত প্রায় হইয়াছে। এই জল যখন প্রথমে আনীত হয়, তখন, উহা ব্যবহার্য্য কি না, তদ্বিযয়ে আৰ্য্যজাতীয় কোন কোন আচারনিষ্ট বিশিষ্ট্র ব্যক্তির সংশয় উপস্থিত হইয়াছিল। তাহাতে ভারতবর্ষীয়-সনাতন-ধৰ্ম্মরক্ষণী সভার তাৎকালিক মহানুভব সভাপতি ও সভ্যমহোদয় গণ ঐ বিষয়ে নানাস্থানীয় ব্রাহ্মণ পণ্ডিত মহাশয় দিগের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এবং সেই ব্যবস্থা সমস্তের বলাবল ও ব্যবস্থাপক দিগের সংখ্যা বিবেচনা পূৰ্ব্বক সিদ্ধান্ত করেন যে, বর্তমান প্রণালীর যন্ত্রোদ্ভূত গঙ্গাজল আযধৰ্ম্মাবলম্বীদিগের স্নান পানে অবশ্যই গ্রাহ্য হইতে পারে। ধৰ্ম্ম শাস্ত্রে তাহার কোন নিষেধ নাই। কিন্তু এ জল অপেক্ষ সাক্ষাৎ সম্বন্ধি গঙ্গাজলের মাহাত্ম্য অধিক, এবং শাস্ত্রে গঙ্গাজল দ্বারা নিম্পন্ন দৈব পিত্র্য কার্য্যের বিশেষ ফল বর্ণিত আছে । অতএব এiস্থানে যখন ৮ গঙ্গাজল অতি সুলভ তখন দৈবাদি কাৰ্য্যে তাহ পরিত্যাগ করিয়া যস্বেদ্ধত বারি গ্রহণের আবশ্যক নাই । পারলৌকিক অধিক ফলপ্রদ গঙ্গাবরি দৈবাদি পরলোকসাধক কার্য্যে যে প্রকার ব্যবহার্য্য আছে, সেইরূপ থাকুক ; এবং শাস্থশুদ্ধ স্বাস্থ্যকর যন্ত্রোস্তৃত জল স্নান পাননি ঐহিক মুগসাধক কাৰ্য্যে ব্যবহৃত হউক। যন্ত্ৰোদ্ধত বারির পবিত্রত বিষয়ে সন্দিগ্ধ হইয়াই যে সভা, তদ্ব্যবহারে ঐ রূপ সীমা নির্দেশ করিয়াছিলেন, তাহ নহে। তাহা হইলে কৃপ তড়াগাদির উপরে ও ঐ প্রকার ভ্রম উত্থাপিত ককিতে হয় । বহুস্থলেই গঙ্গাদি পুণ্য তোয়ের অভাব আছে ; কুপ সরোবরাদির বারি দ্বার। অত্রতা লোক দিগের স্নান পানাদি নিৰ্ব্বাহ হইয়৷ থাকে । তন্মধ্যে সুযোগানুসারে যদি কেহ গঙ্গাদির পুণ্য বারি আহরণ করিতে পারেন, তবে অধিক ফল প্রত্যাশায় তদারাই শ্ৰাদ্ধ পূজাদি নিম্পন্ন
