পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১০০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য tyస్ట్రీశీ নাম করিয়া ভিক্ষার্থী ফকিরকে অকাতরে ভিক্ষা দেয়। ফকির श्रृंश्ल्याइन्न अमाङ्गদ্বারে দঁাড়াইয়া গৃহলক্ষ্মীদিগকে সতীধৰ্ম্ম ও গৃহকধের সুন্দর উপদেশমালা মুরসংযোগে শুনাইরা যায়। গ্রাম্য কবির এই সব নীতিকথা কবিতাকারে" রঙ্গ করিয়া নিজশক্তির পরিচয় দিবার স্থযোগ পান। যশোহরের উত্তরাংশে এই মাণিকপীরের গীত অহরহ শুনিতে পাওয়া যায়। (৫) কবি ও বাউল সঙ্গীত-কবিত্বের প্রকৃষ্ট পরিচয় হয় বলিয়া এক জাতীয় গানের নামই কবির গীত এবং যে গায় তাহাকে “ কবিদার ? বা কৰিওয়ালা বলে। কে কেমন গান বাধিতে ( রচিতে) এবং অনর্গল উপস্থিত বোল আওড়াইতে পারে, তাহাই পরীক্ষার জন্ত কবির পাল্লা বা তর্জা হয়। পৌরাণিক কথা বা রহস্তের মীমাংস উপলক্ষ্য মাত্র, অবিরাম পয়ার ত্রিপদীতে কবিতা রচিয়া “ছড়া কাটিয়া” যাওয়াই কৃতিত্বের পরিচায়ক । স্বল্পশিক্ষিত নিম্নশ্রেণীর লোককে এত দ্রুতবেগে উপস্থিত মাত্র শুদ্ধভাষায় কবিতা রচিয়া বলিয়া যাইতে শুনিয়াছি, যে তাহার শক্তি দেখিয়া অবাকৃ হইয়া গিয়াছি। সাধারণতঃ কোন পৌরাণিক কাহিনী তুলিয়া একটি প্রশ্ন বা পূৰ্ব্বপক্ষ উত্থাপিত করিয়া একদল অন্তদলকে “বেড়িয়া" ফেলে বা আক্রমণ করে ; অপর পক্ষের কবিদায় বা সরকারকে সুকৌশলে উহার জবাব দিতে হয়। এই উত্তর প্রত্যুত্তর কালে অনেক সময়ে বিষম ঝগড়া, এমন কি, অশ্লীল বা “মোটা” ভাষায় গালাগালি চলে ; নিয়শ্রেণীর শ্ৰোতৃবর্গ উহাই ভালবাসে এবং বাহবা দেয়। এজন্ত এ সব গান গৃহস্থ বাড়ীতে ন হইয়া অধিকাংশ সময়ে হাটে বাজারে বারোয়ারী পুজা উপলক্ষ্যে হইয়া থাকে ; বহুদূর হইতে কৃষকগণ উহা শুনিতে আসিয়া হয় করে এবং সমস্তরাজি বিনিম্নভাবে গানের বান্ধুটি (রচনা) বা ভাষার কসরতের প্রশংসা করে। প্রারম্ভে এবং মধ্যে মধ্যে অবশ্য শ্রোতার নেত্র অশ্রুসিক্ত করিয়া দেহতত্ব রাঁ ধৰ্ম্মভক্তি বিষয়ক উচ্চাঙ্গের গানও গায় এবং উহার ভাব ও রচনা-চাতুর্য উচ্চ সমাজে প্রশংসিত হইবার যোগ্য। তারক কাঁড়াল, পাচু দত্ত, গোবিন্দ তাতি, রূপে পাঠ, হারাণ ঠাকুর, হরমোহন ও মধুর সরকার প্রভৃতি কৰিদারের যশোর খুলনার অধিবাসী ও সৰ্ব্বত্র বিখ্যাত। খুলনার নিকটবর্তী জাপস গ্রামের “ক’ৰেল (কবিওয়াল) কামিনী” নামক একজন নিরক্ষর পো-রমণী তাছার ভাগিনীপুত্র তারাচাঁদ বা অষ্ঠের গীতের