পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

U-8 যশোহর-খুলনার ইতিহাস শ্ৰীকরের বংশীয়ের খন্ন্যানের বা থনিয়ার চাটুতি বলিয়া খ্যাত “ শ্ৰীকরের ধারায় চণ্ডীবর চক্ৰবৰ্ত্ত বহুরূপ হইতে নবম পুরুষ এবং সুরাই মেলের প্রধান কুলীন ৷ + তিনি ত্যাগশীল সাধুপুরুষ ছিলেন, এজন্ত সাধারণতঃ চণ্ডীবর তপস্বী বলিয়া খ্যাত। ইহার দুই পুত্রের সন্ধান পাওয়া যায়,—পৃথ্বীধর ও কমল নয়ন। । তন্মধ্যে পৃথীধরই বোধহয় জ্যেষ্ঠ, তিনি সন্ন্যাসীর মত তীর্থভ্রমণে দেশে দেশে ফিরিতেন। আর কমল নয়মের উপাধি ছিল—তর্কপঞ্চানন ; তিনি অসাধারণ পণ্ডিত ও তীক্ষ্ণধী ছিলেন। কথিত আছে, বিক্রমাদিত্য একদিন হুগলীর নিকট ত্রিবেণীতে পাৰ্ব্বণ শ্ৰাদ্ধ করিতেছিলেন ; কমলনয়ন দৈবক্রমে তথায় উপস্থিত ছিলেন। খন্নিয়ান ত্রিবেণী হইতে বেশী দূর নহে। মন্ত্রপাঠে ভুল হইতেছিল দেখিয়া তর্কপঞ্চানন তাহ দেখাইয়া দেন এবং বিক্রমাদিত্যের অনুরোধে তিনিই শেষে মন্ত্র পড়াইয়৷ দেন। শ্রাদ্ধান্তে তর্কপঞ্চানন চলিয়া গেলেও বিক্রমাদিত্য র্তাহার বাড়ীতে যথাযোগ্য সিধা পাঠাইয়া দেন। তখনও চণ্ডীবর জীবিত ছিলেন, তিনি কখনও ব্রাহ্মণেতর জাতির দানগ্রহণ করেন নাই ; এজন্ত তিনি তিরস্কার করেন । তাহারই ফলে, কমল নয়ন বসন্তরায়ের অনুরোধে যশোহরে আসিয়াছিলেন এবং রাজগুরু বলিয়া স্বীকৃত হন । অচিরে তিনি অসামান্ত প্রতিভাবলে রাজধানীতে অশেষ সন্মান ও প্রতিপত্তি লাভ করেন । “সারতত্ত্ব তরঙ্গিণী”তে আছে ৪— “কমল নামেতে তর্কপঞ্চাননোপাধি । মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিত গুণনিধি ॥ ছিল রাজসভাসৎ পণ্ডিত অতি মান্ত । সৰ্ব্বশাস্ত্রে বিশারদ মহাখ্যাত্যাপন্ন ৷” যশোর-রাজ্যের প্রতিষ্ঠার পূৰ্ব্বে কালীঘাটে পীঠমূৰ্ত্তি আবিষ্কৃত হইয়াছিল। বসন্তরায় দেবীমূৰ্ত্তির জন্য একটি ক্ষুদ্র মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন, তাহ পূৰ্ব্বে উল্লেখ করিয়াছি। সে সময় ভুবনেশ্বর চক্রবর্তী নামক একজন ব্রহ্মচারী সেখানকার সেবাইত ও অধিকারী ছিলেন । বসন্তরায় তাহাকে গুরুর মত ভক্তি করিতেন । কেহ কেহ বলেন, বসন্তরায় তাহার শিষ্য হইয়াছিলেন ; সে

  • সম্বন্ধ নির্ণয়, লালমোহন বিস্তানিধি, ৪৪৮, ৪e• পৃঃ ।

ا: هه در دهد ) .thrri hfitsچ + বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস, ব্রাহ্মণকাও, ২৯৭ পৃঃ ।