পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

y'\e যশোহর-খুলনার ইতিহাস তাহার নিজে আগ্রায় যাওয়ার সম্ভাবনা নাই। বিশেষতঃ তিনি এখনও পাঠানের সহিত বন্ধুত্ব-স্বত্রে আবদ্ধ বলিয়া নিজে যাইতেও ইচ্ছা করেন না । এমত অবস্থায় প্রাপ্ত-বয়স্ক প্রতাপকে রাজধানীতে প্রেরণ করিতে পারিলে সব দিক রক্ষা হয়। বিশেষতঃ বিশাল মোগল রাজধানীর যুদ্ধসজ্জা ও সৈন্যবাহিনী দেখিলে এবং বাদশাহ-দরবারের ব্যবহার পদ্ধতির সহিত পরিচিত হইলে, প্রতাপের অনেক শিক্ষালাভ হইবে ; সঙ্গে সঙ্গে সুন্দর বনের উপকণ্ঠে যে ঐশ্বর্যের গৰ্ব্ব ও অনর্থক ঔদ্ধত্য জাগিতেছিল, তাহাও প্রশমিত হইয়া যাইবে । এই সকল বিষয় বিবেচনা করিয়া প্রতাপের আগ্রাগমন স্থিরীকৃত হইল। যে প্রতিভা ক্ষুদ্র রাজ্যের সীমাবদ্ধ গগুীতে আদর্শের অভাবে মলিন হইতেছিল, বিশাল রাজ্যের কেন্দ্রস্থলে তাহারই প্রকাশলাভের পথ খুলিল। প্রতাপ তাহ বুঝিতে ন পারিয়া স্থির করিয়া বসিলেন যে, তাহাকে আগ্র প্রেরণের মূল কারণ বসন্ত রায়। কিন্তু খুড়া মহাশয়ের মেহের গুণে প্রকাগু ভাবে সন্দেহ করিবার উপায় ছিল না । তিনি সুযোগ্য পুত্রের মত রাজাজ্ঞা শিরোধাৰ্য্য করিলেন। উপযুক্ত যানবাহন, সঙ্গী, সরঞ্জাম ও উপঢৌকন দ্রব্যাদি লইয়া প্রতাপ শীঘ্রই আগ্র যাত্রা করিলেন । সুৰ্য্যকান্ত ও শঙ্কর র্তাহার সঙ্গেই গিয়াছিলেন । প্রয়োদশ পরিচ্ছেদ –আগ্রার রাজনীতি ক্ষেত্র দায়ুদের পতনের পর টোডরমল্প আগ্ৰায় প্রত্যাগত হইয়া সম্মানিত হন (১৫৭৬) । কিন্তু তখনই গুজরাটে শাসন-বিভ্রাট উপস্থিত হওয়ায় তিনি শাসনকর্তা হইয়া সেখানে প্রেরিত হন । বৎসরাস্তে তিনি বিদ্রোহাদি দমন করিয়া পুনরায় আগ্রায় আসেন ; তখন বাদশাহ তাহাকে উজারের পদে উন্নীত করিয়া রাজা উপাধি দেন (১৫৭৮) । ইহারই কিছুদিন পরে বসন্তরায়ের পত্র লইয়া প্রতাপাদিত্য আগ্রার দরবারে উপনীত হন। সে দরবারে টোডরমল্লের বিপুল সন্মান ; প্রতাপ পত্র লইয়া তাহারই নিকট গিয়াছিলেন এবং তিনিই প্রতাপকে সুযোগমত বাদশাহের সহিত পরিচিত করাইয়া দেন। ১৫৭৫ হইতে বাদশাহ আকবর অধিকাংশ সময় তাহার নূতন রাজধানী ফতেপুর-শিকরতেই কাটাইতেন,