পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতাপের রাজ্যলাভ »३१ লইয়া আমোদ প্রমোদে অভিষেক উৎসবের সমারোহ বৃদ্ধি করা ব্যতীত এ ব্যাপারে প্রতাপের আরও নিগুঢ় উদেঙ্গ ছিল। সুযোগমত তাহাদের প্রকৃতি ও শক্তি পরীক্ষা করা এবং মোগলের প্রতি র্তাহাদের আসক্তি বা বিরক্তি কিরূপ ছিল, তাহাও বুঝিয়া লওয়া এই অভ্যর্থনার অন্যতম উদেহু হইয়াছিল। শুধু তাহাই নহে, র্যাহাদের সহিত তাহার মতের মিল হইয়াছিল, মোগলের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করিবার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে তিনি র্তাহাদের সহিত অনেক পরামর্শ করিয়া লইলেন। অন্তক্র হইতে সময়কালে সাহায্য পাওয়া যে অসম্ভব নহে, প্রতাপের তাহা বুঝিতে বাকী রহিল না। সঙ্গে সঙ্গে ক্রমেই র্তাহার উৎসাহ উদ্যম আরও বাড়িতে লাগিল। ভাগ্যবানের পথ ভগবানই পরিষ্কার করিয়া দেন । প্রতাপের জীবনে ইহা বিশিষ্টভাবে পরীক্ষিত হইয়াছে। যখন কেবলমাত্র জাগতিক চেষ্টায় কাষ হয় না, তখন সহসা দৈবশক্তি আবিভূভ হইয়া প্রকৃভ উদ্বোধন করিয়া দেয় । মোগলের বিপক্ষে দাড়াইয়া বঙ্গের স্বাধীনতা ঘোষণা করিবার উদ্দেশু মনে মনে স্থির হইয়াছিল ; আত্মবল বৃদ্ধির জন্ত অবিশ্রান্ত চেষ্টা চলিতেছিল ; কিন্তু এখনও লোকের বিশ্বাস উদ্বুদ্ধ হয় নাই। বিশ্বাস ন হইলে প্ৰাণে বল আসিবে কেন? প্রাণ দিয়া পরের বা দেশের কাযে আত্মোৎসর্গ করিবার প্রবৃত্তি জাগিবে কেন ? প্রতাপ শক্তিশালী, প্রতাপ উদ্যমশীল, প্রতাপ সাহসী ও অদ্ভুতকৰ্ম্ম ; কিন্তু তবুও লোকের বিশ্বাস জাগে নাই। হঠাৎ একটি দৈব ঘটনায় যশোরেশ্বরী দেবীর আবির্ভাবে তাহার প্রতি লোকমাত্রের অটল বিশ্বাস স্থাপিত হইল। পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ—ম্ভশোরেশ্বরী , প্রতাপাদিত্য আগ্রা হইতে যে সৈন্যদল সঙ্গে আনিয়াছিলেন ভাহার অধিনায়ক ছিলেন এক তীক্ষবুদ্ধি পাঠান বীর-কমল খোজা । ইহার সম্পূর্ণ নাম খোজ কামাল বা কামাল উদ্দীন হইতে পারে ; কিন্তু তিনি সাধারণতঃ হিন্দু ভাবাপন্ন কমল নামেই পরিচিত। প্রথমতঃ তিনি প্রতাপের শরীররক্ষী সেনার