পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YG e যশোহর-খুলনার ইতিহাস গাবপ্রভৃতি গ্রাম্যতরু দেখিয়াছিলাম। এমন কি, একস্থানে বকুল বৃক্ষ ও দুৰ্ব্বাক্ষেত্র দেখিয়া বিস্ময়াবিষ্ট হইয়াছিলাম। পশ্চিমদিক হইতেও এইরূপ মালঞ্চ নদী হইতে টাটের খাল দিয়া কলাগাছি নদীতে পড়িলাম ; বগিদোয়ানী, কেয়া ও তেরকাটির থাল- কলাগাছিয়া হইতে উঠিয়াছে। উহারই একটির কুলে ভীষণ ঘোষড় বনের মধ্যে কতকগুলি আইটু পাইলাম। এখানে ভিটা, গাবগাছ ও নানা স্থানে ইট আছে। একজনে বলিয়াছিলেন, একটি মসজিদ আছে, কিন্তু অনেক খুজিয়াও তাহা দেখিতে পাই নাই। কোথায়ও বিস্তীর্ণ দুর্গ, স্থায়ী দেবালয় বা রাজপ্রাসাদাদির ভগ্নাবশেয় আমাদের নয়ন-পথে পড়ে নাই। ইহা দ্বারা স্থির হয়, তেরকাটিতে প্রাচীন বা নূতন কোন রাজধানী ছিল না। ধূমঘাটে নূতন রাজধানী স্থাপিত হওয়ার পর সে সহর উত্তরদিকে প্রাচীন যশোহরের সহিত মিশিয়া গিয়াছিল এবং পূৰ্ব্বে ও দক্ষিণে ক্রমে বহুদূর বিস্তৃত হইয় পড়িয়াছিল। উচ্চপদস্থ ধনী বা ভদ্রলোকের বসতি উশ্বরীপুরে বা তাহার উত্তর দিকে হইয়াছিল, কিন্তু নিম্নশ্রেণীর বা ব্যবসায়ী লোকের বসতি ঈশ্বরীপুর বা তাহার উত্তরদিকে হইয়াছিল, কিন্তু নিম্নশ্রেণীর বা ব্যবসায়ী লোকের বসতি একটু দূরে দুরে তেরকাটি অঞ্চলে বা ধূমঘাট নদীৰ পশ্চিমকুলে হইয়াছিল। তেরকাটি নামটি হইতেও তাহ অনুমিত হয়। তেরকাটি বা তিওরকাটি অর্থাৎ যেখানে তিওর বা মৎস্তজীবিগণ জঙ্গল কাটিয়া বসতি করিয়াছিল। উহার মধ্যবৰ্ত্ত মোড়লখালি পোদখালিপ্রভৃতি থালের কুলেও ঐরূপ তিম্নশ্রেণীর লোকের বসতি ছিল বলিয়৷ বোধ হয় ; উহার প্রকাও সহরের লোকের খাদ্যসরঞ্জামাদি সরবরাহ করিত। এখনও কলিকাতার উপকণ্ঠে বহুদূৰ্ববৰ্ত্ত স্থান হইতেও ব্যবসায়ীরা মৎস্ত তরকারী প্রভৃতি দ্রব্যজাত লইয়া গিয়া অতি প্রত্যুষ হইতে সহরের জনতা বৃদ্ধি করে। সেইরূপ তেরকাটির লোকেরও যাতায়াতের জন্ত ধূমঘাট পৰ্য্যন্ত যে সোজা রাস্ত ছিল, তাহার চিহ্ন এখনও আছে, উহার পাশে পাশে অসংখ্য ভিটা এখনও পড়িয়া আছে ; পূৰ্ব্বে ধূমঘাটের সহিত তেরকাটি সংলগ্ন গ্রাম ছিল, এখন একটি নদী দ্বারা পৃথক হইয়া পড়িয়াছে ॥৬ • ७ नदएक अभि ७कजन जछिख् भनाइ बूप्रुद्र भग्न रहेरठ कम्बक श्रृद्धि ध्रुस् করিতেছি : “তেরকাটা জঙ্গলটি চণ্ডীপুর জঙ্গলের লপ্ত ছিল। স্বন্দরবনের কমিশনার যখন জমিদার