পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১২ যশোহর-খুলনার ইতিহাস করিতে যাইত। সে নৌকার নাম ছিল বালাম নৌকা । তাই সে নৌকায় যে চাউল আসিত, তাহার নাম বালাম চাউল হইয়াছে”। * আমরা এক্ষণে বালাম চাউলই চিনি, বালাম নৌকার কথা ভুলিয়া গিয়াছি। তবে এখনও বালাম চাউল প্রধানতঃ খুলনা ও বরিশাল জেলা হইতে নানা দেশে রপ্তানি হয়। দক্ষিণ খুলনা বা প্রাচীন যশোহরের বালাম নৌকা নিজস্ব। প্রতাপাদিত্যের সময়েও রসদ প্রেরণের জন্ত এ নৌকার প্রচলন খুবই ছিল। বড় নৌকা বা জাহাজকে পূৰ্ব্বকালে ডিঙ্গ বলিত ; এবং সৰ্ব্বজাতীয় ছোট নৌকার সাধারণ নাম ছিল--ডিঙ্গি। একজন লোকে একখানি বৈঠা দিয়৷ ইহা স্বচ্ছন্দে বাহিতে পারে ; নদীতীরবাসী প্রত্যেক গৃহস্থের এ নৌকার প্রয়োজন ছিল এবং এখনও উহা ব্যবহৃত হয়। যশোহরে ইহার যথেষ্ট ব্যবহার ছিল। ডিঙ্গি অপেক্ষ একটু বড় নৌকা ছই বা আবরণ দিয়া দাড় বসাইলে “পাল্সী’ হইত এবং উহাতে অল্প ংখ্যক লোক চলাফেরা করিতে পারিত। যে সব প্রকাণ্ড আকারের পান্‌সী ফরিদপুর অঞ্চল হইতে আসিত, তাহাকে “সৈদপুরি পানসী বলে”। পানসী অপেক্ষ একটু বড় ও শক্ত, অনাবৃত, ভারবাহী নৌকাকে “বাছাড়া” বলে ; তদপেক্ষ বড় হইলে বাছাড়ী জাহাজ হয়। এখনও "বাছাড়” উপাধিধারী নমঃপূদ্র জাতীয় লোকেরা বহুসংখ্যক প্রাচীন যশোহরের সন্নিকটে বাস করে। সম্ভবতঃ তাহাদের নামানুসারে এই প্রকার নৌকার নাম হইয়া থাকিবে। এই সকল নৌকা ব্যতীত সংবাদাদি প্রেরণের জন্য অত্যন্ত দ্রুতগামী সিপ নৌক, ভারী দ্রব্য ও হাতী ঘোড়া প্রভৃতি জীবজন্তু বহনের জন্ত ঢাকাই “পাটুয়া, ভড় বা “জঙ্গ” নৌকা ব্যবহৃত হইত। “পাতিল” নৌকা উত্তরপশ্চিম দেশ হইতে আসিত, এবং মোগলবাহিনীতে রসদ বহনের জন্ত উহা ব্যবহৃত হইত। প্রতাপাদিত্যের নৌ-বাহিনীতে ঘুরাব, জালিয়া, বালাম, পলওয়ারী ও কোশার সংখ্যাই অধিক। তন্মধ্যে ঘুরাব, কোশা ও জালিয়া প্রকৃত রণতরী। । অপরগুলি অধিকাংশষ্ট ভারবাহী ।

  • কলিকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য সন্মিলনের ৭ম অধিবেশনে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ नाशो भtशषtग्नग्न बछिछांब५, २१ शृः ।

t মোগলদিগের নওয়ার বিভাগে ঘুরাব, পাতিল, জলব এবং কোশায় সংখ্যা বেশী ছিজ। মগদিগের নীবিভাগে ঘুবীব, জলবা, জঙ্গি ( জঙ্গ বা Junk) এবং কোশ ও বালাম उषषिक ।