পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নৌ-বাহিনীর ব্যবস্থা శd হইয়াছে। এই রাস্তার পার্থে ৪১৬ X ২১০ ফুট পরিমিত স্থানে এখনও ইষ্টক স্তুপ, প্রাচীর, খিলান প্রভৃতির ভাবশেষ রহিয়াছে। উত্তর দিকের মৃত্তিক প্রোথিত কয়েকটি প্রাচীর দেখিয়া তত পুরাতন বলিয়া বোধ হয় না : সম্ভবতঃ নীলকরগণ এথানেও প্রাচীন গৃহাদি ভাঙ্গিয়া কুঠি স্থাপনের চেষ্টায় ছিলেন ; যমুনার জল লোণ হওয়াতে বোধ হয় সে উদ্বেগু সিদ্ধ হয় নাই। ভগ্নচিহ্নের মধ্যে পূৰ্ব্বপার্থে শতাধিক ফুট দীর্ঘ এক ভগ্ন অট্টালিকা এখনও দণ্ডায়মান রহিয়াছে। সম্ভবতঃ উহাই ছিল পোতাধ্যক্ষের আবাস-বাটিকা। উহার উত্তর দিকে একটি খোলা ঘর, সেই দিকে সদর । তাহার দক্ষিণে একটি গুম্বজওয়াল ঘর, উহাই আফিস। তৎপরে দুই পাশ্বে তুষ্টটি গুম্বজওয়াল ছোট ঘর, দ্রব্যাদি রাখিবার স্থান । তাহার দক্ষিণে একটি সৰ্ব্বাপেক্ষা বড় ঘর, সম্ভবতঃ শয়ন ঘর, উহাও গুম্বজওয়াল । তাহারই পাশ্বে স্নানাগার, উহাতে দুইধারে দুষ্টটি চৌবাচ্চ ; অট্টালিকার গাত্র সংলগ্ন প্রকাণ্ড ইন্দির হইতে জল তুলিয়া নলদ্বারা ঐ জলে চৌবাচ্চ পুরিয়৷ দেওয়া হইত। প্রত্যেক গুম্বজের উপরই এক একখানি গোলাকার স্ফটিক বসান ছিল, তজ্জন্ত গৃহগুলি বাহিরের জাহাজঘাটার ভগ্নগৃহ। আলোকে আলোকিত হইত। জাহাজ ঘাটাকে কেহ কেহ কোটাঘাটাও বলে। কেহ কেহ বলে, ভয় কোটাটিতে নবাবের কাছারি বাড়া ছিল। সম্ভবতঃ প্রতাপের পতনের নয়