পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిలిపి যশোহর-খুলনার ইতিহাস রাশি রাশি লৌহ-মণ্ডুর দেখিতে পাওয়া যায় । সম্ভবতঃ ছোটনাগপুর প্রভৃতি স্থান হইতে এই মিশ্রিত লৌহ-পিণ্ড সংগৃহীত হইত এবং বিষ্ণুপুর বা সেনপাহাড়ীর হিন্দু ভুঞাগণ প্রতাপের সহিত সখ্যস্থত্রে এতদ্বিষয়ে তাঙ্গাকে সাহায্য করিতেন । র্তাহার নানা জাতীয় গোল ছিল, তন্মধ্যে বড় গোল সকল চারি শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়। (১) সম্পূর্ণ লৌহদ্বারা নিৰ্ম্মিত গোল। রায়পুরের অধিকারী মহাশয়ের নিকট হইতে আমি উহার একটি সংগ্ৰহ করিয়া পরীক্ষার্থ কলিকাতায় পাঠাইয়াছিলাম। এই গোলাটির পরিধি এক ফুট ; লেই অপেক্ষাও উহার আপেক্ষিক গুরুত্ব বেশী । সম্ভবতঃ লোহের সহিত অন্ত কোন ধাতুর মিশ্রণে এই অত্যন্ত ভারী গোলা প্রস্তুত হইয়াছিল। (২) লেহের আবরণ বিশিষ্ট পাথরের গোলা। পৰ্য্যাপ্ত লৌহের অভাবে প্রতাপ এই নূতন উপায় অবলম্বন করেন। পাথরের গোলকের উপর পুরু লৌহের আবরণ দিয়া তাহাই কামানে ব্যবহৃত হইত। (৩) সেরূপ আবরণ না দিয়া শুধু প্রস্তরগোলকই কামানে পুরিয়া গোলার মত প্রযুক্ত হইত। এখনও রাজধানীর সন্নিকটে নানা স্থানে এইরূপ পাথরের গোলা পাওয়া যায়। উহার কতকগুলি শ্ৰীযুক্ত শ্ৰীশচন্দ্র অধিকারী মহাশয়ের প্রযত্নে ঈশ্বরীপুরে, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ মন্দিরে এবং আমার নিকট সংগৃহীত আছে। চুচুড়া সাহিত্য-সম্মিলনে অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত হেমচন্দ্র দশ গুপ্ত মহোদয় পরিষদের তিনটি গোলকের তত্ত্বানুসন্ধান করিয়া একটি ক্ষুদ্র প্রবন্ধ পাঠ করেন । * তাহা হইতে মোটামুটি জানা যায়, উহার মধ্যে দুই প্রকার গোল ছিল, তাহদের পরিধি ৯ ইঞ্চি হইতে এক ফুট পৰ্য্যন্ত। এক প্রকার গোল অত্যন্ত দৃঢ় প্রস্তর দ্বারা নিৰ্ম্মিত এবং অষ্ট প্রকার গোল “নদীসৈকতস্থিত বালুকণা একত্র করিয়া চুণা প্রভৃতি দিয়া” প্রস্তুত। প্রস্তরের প্রকৃত্তি পরীক্ষা করিয়া হেম বাবু অনুমান করিয়াছেন যে, উহ্য রাজমহল হইতে আনীত। নদী পথে রাজমহল বা অন্তস্থান হইতে যে রাশি রাশি পাথর

  • এই প্রবন্ধ হইতে জানা যায়, যশোহরের গোলার প্রস্তরে "বক্রভঙ্গ ফেলস্কর, অপিট ও আয়ুস্কান্ত” ব্যতীত গালাগনিট নামক এক পদার্থ আছে। এই প্রস্তর ক্ষার শ্রেণীর অন্তর্গত । তেমন প্রস্তর রাজমহলে ও দক্ষিণাত্যে পাওরা যায়। প্রতাপের পক্ষে দাক্ষিণাত্য DDB BBB DBBB BBBBS BBS BBB BBBB BBS BB BB BB BBB BBBBS হইতে আনেন। সাহিত্য-পরিষৎ গত্রিক, ১৯ ভাগ, ১ম সংখ্যা, ৫৯–৬• পৃঃ ।