পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৈন্তগঠন ఫి&రి আন হইত, তাহার অন্য পরিচয়ও আছে। ধূমঘাট দুর্গের সন্নিকটে যমুনার কুলে স্থানে স্থানে প্রস্তর রাশি পাওয়া যায়, স্বচক্ষে দেখিয়াছি। ঐ সকল পাথর দেখিলেও তাহ রাজমহলের পাথর বলিয়া অনুমিত হয়। এইরূপ ভাবে আনীত পাথর যে শুধু গোলা প্রস্তুত করিতেই শেষ হইত, তাহী নহে। ইহার মধ্যে যে সব কষ্টিপাথর পাওয়া যাইত, তারা দেববিগ্রহ এবং মন্দিরের স্তম্ভাদি গঠিত হইত। কয়েকটি প্রস্তর স্তম্ভ ও পাদপীঠাদি এখনও বেদকাশীতে পড়িয়া রহিয়াছে। সব সময়ে এই প্রস্তর যথেষ্ট পরিমাণে সংগ্ৰহ করিতে পারা যাইত না ; বিশেষতঃ মোগল সংঘর্ষকালে গঙ্গাপথে কোন দ্রব্যাদি আনিবার পথ রুদ্ধ হইয়াছিল। এজন্ত প্রতাপাদিত্য এক নূতন উপায় উদ্ভাবন করিয়া লইয়াছিলেন । (৪) তিনি মাটীর গোলক তৈয়ার করাষ্টয় পোড়াইয়া লইতেন এবং উহার উপর লোহার আবরণ দিয়া গোলারূপে ব্যবহার করিতেন । বেদকাশতে “পাথরখালি” নামক খালের কূলে স্থানে স্থানে পাথর, লৌহমণ্ডর এবং এই প্রকার পোড়ামাটার গোল এখনও যথেষ্ট পাওয়া যায়। হেম বাৰু লিখিয়াছেন, “পাথরের গোল কামানের গোলারূপে অনেক দেশে ব্যবহৃত হইয়াছে;” কিন্তু পোড়ামটির গোলাকে লোহমণ্ডিত করিয়া বোধ হয় একমাত্র প্রতাপাদিত্যই ব্যবহার করিয়াছিলেন । e শুধু কামান ও গোল নহে, যশোহরের কারখানায় নানাবিধ বন্দুক প্রস্তুত হইত। এখনও অনেক পুরাতন বন্দুকের ভগ্নাবশেষ পাওয়া যায়। খোড়গাছি রাজবাটীতে তিনটি পুরাতন বন্দুকের নল আছে। দুষ্টটিতে কিছু কিছু কাঠ আছে ; কুনা কোনটিতে নাই। ছোট নল ষ্টটির প্রত্যেক ৫-৪ ইঞ্চি দীর্ঘ এবং বড়টি ৭ ফুট দীর্ঘ। বড়টির ছিদ্র পূর্ণ এক ইঞ্চি বিস্তৃত। সাত ফুট নল যুক্ত বন্দুক বড় ভারী, ঐরূপ বড় বন্দুকের নাম ছিল, জাল বন্দুক ; এখনকার লোকের নলটি হাতে তুলিয় লওয়াই কষ্টকর ব্যাপার। যশোহরের কৰ্ম্মকারগণ নানাবিধ সুতীক্ষ তররারি, থাণ্ড, গুপ্তি, টাঙ্গি, বৰ্ম্ম ও বর্শার ফলক প্রভৃতি প্রস্তুত করিত ; তাহাদের শিল্পগৌরবে যশোহর খ্যাতি লাভ করিয়াছিল। প্রতাপের পতনের পর ইহাদের ব্যবসায় নষ্ট হইলেও, এখনও কালীগঞ্জের কামারের যেমন খাড়া, কাটারি ও অন্যান্ত ব্যবহার্য্য অস্ত্রাদি নিৰ্ম্মাণ করে, তেমন সুন্দর জিনিৰ অন্তর সহজলভ্য নহে। প্রতাপাদস্থ্য যে নিজ সৈন্যদলকে এবম্বিধ নানারকম