পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বসন্ত রায়ের হত্য ર૭૧ করিবেন, সুতরাং তিনি সৰ্ব্বদাই সন্দিগ্ধ থাকিতেন । বসন্ত রায়ও তাহার পত্নী প্রতাপের সকল দোষ ঢাকিয় রাখিয় তাহাকে পিতৃকোপ হইতে রক্ষা করিতেন এবং মেহাধিক্যবশতঃ প্রশ্রয় দিতেন। কাৰ্য্যতঃ দাড়াইল এই, প্রতাপ প্রকৃত পিতৃস্নেহ খুল্লতাতের নিকট হইতেই পাইয়াছিলেন এবং ঘটনাচক্রে সেই খুল্লতাতকেই হত্যা করিয়া তিনি ভাগ্যচক্রের ফল প্রতিপন্ন করিয়াছিলেন। বসন্ত রায় চিরদিন অযাচিত স্নেহ-ধারায় প্রতাপকে প্লাবিত করিয়া রাখিলেও নিয়তির হাতে নিস্তার পান নাই । তিনি যতই স্নেহশীল হইয়া প্রতাপের প্রতি সদ্ব্যবহার করিতেন, মস্তিষ্কের কেমন যেন এক বিকৃতিবশতঃ প্রতাপ তত তাহার প্রতি মনে মনে সন্দেহযুক্ত হইতেন। জ্ঞাতি বিরোধ ওসঙ্গিগণের কুপরামর্শ এই সন্দেহ বৃদ্ধি করিয়া দিত। প্রতাপের প্রতি বসন্ত রায়ের পুত্ৰগণের অত্যন্ত জ্ঞাতি-বিদ্বেষ ছিল ; বিশেষতঃ জ্যেষ্ঠ পুত্র গোবিন্দ রায় প্রতাপের প্রায় সমবয়স্ক ছিলেন এবং উহাদের উভয়ের মধ্যে সৰ্ব্বদাই একটা বিজাতীয় মনোমালিন্ত এবং বিবাদ বিসম্বাদ চলিত। • প্রতাপ বসন্ত রায়ের জ্যেষ্ঠ পত্নীর পুত্রতুল্য বলিয়া গোবিন্দের মাত তাহাকে সপত্নীপুত্রের মত ঘৃণার চক্ষে দেখিতেন। উছারষ্ট ফলে পুলগণের মধ্যে সৰ্ব্বদা কলই হইত। প্ৰতাপ মনে করিতেন, এই কলহের অন্তরালে বসন্ত রায় নির্লিপ্ত ছিলেন না। যে সকল কারণে বসন্ত রায়ের প্রতি প্রতাপের আক্রোশ জন্মাইতেছিল, এই জ্ঞাতি-বিদ্বেষ তাহার সর্বপ্রথম। দ্বিতীয়তঃ প্রতাপকে আগ্ৰায় পাঠাইবার মূল প্রস্তাব বিক্রমাদিত্যই উপস্থিত করেন ; রসন্ত রায় বহু চেষ্টায় তাহাকে নিরস্ত করিতে না পারিয়া অবশেষে বাধ্য হইয়া অনুমোদন করেন, এবং সে কার্য্যে প্রতাপের মঙ্গল হইবে বুঝিয়াই নিজে অঞ্জন ইয়া উহার সুব্যবস্থা করিয়া দেন। প্রতাপ ভাবিলেন,খুলতাতের চক্রান্তেই তাহাকে দূরদেশে নিৰ্ব্বাসিত করা হইল। তৃতীয়তঃ প্রতাপাদিত্য মোগল बांनभाझ्ब निक, इहाड मनन ज्ञईय़ा श्रीगन । रुटबक बध्नब उनश्गाप्त সামন্তরাজের মতই ছিলেন এবং মানসিংহের নির্দেশমত মোগল পক্ষে যুদ্ধ করিবার জন্ত উড়িষ্যায় না যাইয়াও পারেন নাই। সেই অভিযান হইতে প্রত্যাগমনের পর প্রতাপ নেপালের বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করিবার জন্য কৃতসংকর হন। তখন বসন্ত রায় ا أخو وجـه دد *