পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૧૦ যশোহর-খুলনার ইতিহাস লক্ষ্য ব্যর্থ হইল, অমনি মদোন্মত্ত দৃপ্ত বীরের ক্রোধ সীমাতিক্রম করিল। প্রতাপ উন্মুক্ত তরবারি হস্তে ছুটয় উঠিয়া এক আঘাতে গোবিন্দ রায়কে দ্বিখণ্ডিত করিয়া ফেলিলেন। চারিদিকে বিষম হাহাকার রোল উঠিল । বসন্তরায় যেখানে শ্রাদ্ধে বসিয়াছিলেন, সে শব্দে তিনি চমকিয়া উঠিলেন । প্রতাপের প্রতি র্তাহার যতই স্নেহ থাকুক এবং গোবিন্দের দুৰ্ব্বদ্ধির জন্ত তাহার প্রতি যতই বিরক্তি থাকুক, বৃদ্ধকালে তাহারই সম্মুখে তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্রের নৃশংস হত্যা তিনি কিছুতেই সহ্ করিতে পারিলেন না ; এমন সহ জগতের অতি কম লোকেই করিতে পারে। বিশেষতঃ তিনি নিজে প্রবীণ যোদ্ধা এবং অসম সাহসী। পুত্র হত্যার প্রতিশোধ লইবার জন্ত তিনি “গঙ্গাজল আন, গঙ্গাজল আন” বলিয়া চীৎকার করিতে লাগিলেন । তাহার নিজের প্রকাও তরবারির নাম ছিল গঙ্গাজল। নিকটবৰ্ত্তী ভৃত্য তাহা বুঝিল না, সে ভাবিল শ্ৰাদ্ধকালে যে গঙ্গাজল লাগে, রাজা মহাশয় তাহাই চহিতেছেন। সে দৌড়িয়া গিয়া এক ঘটি গঙ্গাজল আনিয়া উপস্থিত করিল। বসন্ত রায় প্রতাপাদিতাকে চিনিতেন, তিনি হতবুদ্ধি হইয়৷ ভাবিলেন এইবার সৰ্ব্বনাশ হইল । অপর পক্ষে তিনি যখন “গঙ্গাজল” “গঙ্গাজল” বলিয়৷ চীৎকার করিতেছিলেন, তখন প্রতাপ বুঝিলেন সে কোন গঙ্গাজল। সশস্ত্র হইয়া দণ্ডায়মান হইলে বহু যোদ্ধাও র্যাহার নিকটে যাইতে পারিত না, প্রতাপের অস্ত্রশিক্ষা-গুরু সেই বসন্তরায় আজ গঙ্গাজল হাতে পাইলে তাহার নিস্তার নাই, ইহা তাহার বুঝিতে বাকী রহিল না । এই আশঙ্কায় প্রতাপাদিত্য সদসৎ বিবেচনা করিবার অবসর না পাইয়া, হতবুদ্ধির মত দৌড়িয়া গিয়া বসন্ত রায়ের মুগুচ্ছেদ করিয়া ফেলিলেন। বহু দিনের সম্পোৰ্ষিত জিঘাংসা, ক্রোধে ও মদ্যপানে চৈতন্তের লোপ এবং সৰ্ব্বশেষে স্বকীয় জীবননাশের অত্যধিক আশঙ্কা—এই তিনটি কারণ ভাগ্যদোযে একত্র হইয়া, তাহাকে তিলাদ্ধের জন্য কিছু ভাবিয়া দেখিতে দিল না, তিনি হঠকারিতা ও কুতন্ত্রতার একশেষ দেখাইয়া নিতান্ত দুৰ্দ্ধান্ত পাষণ্ডের মত পিতা হইতেও যিনি র্তাহায় আপন জন,সেই পিতৃতুল্য খুল্লতাতের হত্যাসাধন করিলেন। এইবার তাহার কোষ্ঠীর ফল ফলিল ; এই দিন হইতে র্তাহার রাজ্যের ভিত্তি শিথিল হইয় পড়িল। ৫ ইহার পর তিনি SS BBB BBB BBB BDD DDD DDS BB BB S BBBBB BBB DDBBDDDS সাধারণ মত এই চল্লম্বীপের রাজপুত্র রামচন্ত্রের সহিত প্রভাপ-কঙ্কার বিবাহ কালে বসন্ধরায়