পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૧ર যশোহর-খুলনার ইতিহাস “রাজ্যলোভে হ’য়ে মূঢ় নিদারুণ চিত কাটি খুল্লতাত মাথা পাপে হইল হত।” এই নৃশংস হত্যার যে কোন কারণ থাকুক না কেন, ইহা প্রতাপ-চরিত্রকে ছরপনেয় কলঙ্কে মণ্ডিত করিয়া রাখিয়াছে। এবং এখনও তদ্বংশীয়ের “খুড়া কাটার গোষ্ঠী” বলিয়া লোক-সমাজে নিন্দিত হন। বসন্ত রায়কে হত্যা করিবার পর প্রতাপাদিত্য কৃত কৰ্ম্মের গুরুত্ব বুঝিয়া একেবারে স্তম্ভিত হইয়া পড়িলেন। কোন গুরুতর অপকৰ্ম্মের পর সকল লোকের যেরূপ তীব্র অনুতাপ উপস্থিত হয়, তাহারও তাঁহাই হইয়াছিল। ইছার পর তিনি অন্ত কাহাকেও হত্যা করিয়াছিলেন বা কাহারও উপর অত্যাচার করিয়াছিলেন, এমন মনে হয় না। ঘটককারিকায় আছে—“নিহতেী চন্দ্রগোবিনেী প্রতাপেন মহাত্মনী;” অর্থাৎ প্রতাপ কর্তৃক গোবিন্দ ও চন্দ্র দুই ভ্রাত নিহত হইয়াছিলেন। এ কথা সত্য নহে । আমরা দেখিতে পাই, প্রতাপের পতনের পর বসন্ত-পুত্র চন্দ্র বা চাদরায় কয়েকবৎসর রাজত্ব করিয়াছিলেন। এবং তাহার প্রদত্ত সনন্দ ও দানপত্রাদি পাওয়া গিয়াছে। বস্থ মহাশয় লিখিয়াছেন—“গোবিন্দ রায়ের মস্তক কাটিল এবং তাহার স্ত্রী গর্ভবতী ছিলেন তাহাকে কাটিয়া বসন্ত রায়ের কাটা মুণ্ড লইয়৷ নিজ স্থানে গমন করিলেন”। গোবিন্দের গর্ভবতী স্ত্রীর কথা অন্তত্ত্ব নাই। তাই বলিয়া বনু মহাশয়ের উক্তি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করিতে পারি না। স্বামীর হত্যাকালে হয়তঃ তিনি সম্মুখে পড়িয়া ক্রোধান্ধ বীরের উন্মুক্ত কৃপাণ হইতে রক্ষা পান নাই। কথা সত্য হইলে, গোবিন্দের হত্য অপেক্ষাও এই হত্য আরও নৃশংস এবং মহাপাতকের কার্য্য। প্রতাপের পাপ-চরিত্র সমর্থন করিবার কোন উপায় থাকে না । কিন্তু একথা সত্য বলিয়া মনে হয় না । প্রতাপাদিত্য গোবিন্দ ভিন্ন বসন্তরায়ের আর কোন পুত্রকে নিহত করেন নাই। সম্ভবতঃ অনেকেই এ সময়ে স্থানান্তরে ছিলেন। বস্থ মহাশয়ের মতে বসন্ত রায়ের মৃত্যুর পর তাহার ৭ পুত্র জীবিত ছিলেন, তন্মধ্যে রাঘব রায় জ্যেষ্ঠ। ৯ রাণী বার্তাহার রেবতী নামী এক দাসী রাঘবকে কচু বনে লুকাইয়

  • বসন্তু রায়ের ১১ পুত্রের মধ্যে ৭ জন জীবিত ছিলেন । অপর ৪ জনের মধ্যে গোবিন্ধ DDB DD S DBB BB BB BBBB DDB BBBBB BBBB BBB DD StttBB B নারায়ণদাসের অকালমৃত্যুর কথা জামরা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি। ১১• পৃঃ টক দ্রষ্টব্য।