পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বসন্ত রায়ের হত্যা ২৭৩ প্রতাপের হস্ত হইতে রক্ষা করিয়াছিলেন, এ জন্ত পরে তাহার নাম হয়— কচুঃরায়। এই কচু রায়ই আগ্ৰায় গিয়া মানসিংহকে লইয়া আসেন,এবং প্রতাপের পতনের পর যশোরের সামন্ত-রাজ হইয়া "যশোহরজিৎ” উপাধি লাভ করেন। খুল্লতাতের হত্যার পর তাহার স্ত্রীগণের উপর প্রতাপ কর্তৃক যে সব পাশবিক অত্যাচারের প্রসঙ্গ তুলিয়া “বঙ্গাধিপ পরাজয়ের”গ্রন্থকার নবীন বয়সে স্বীয় লেখনী কলঙ্কিত করিয়াছিলেন, তাহার কোন প্রমাণ নাই। প্রবাদের সঙ্গে অনেক অতিরঞ্জিত গল্প জড়িত আছে, ইহা অস্বীকার করিবার উপায় নাই ; কিন্তু সে প্রবাদও তান্ত্রিকভক্ত প্রতাপাদিত্যের নামে তেমন কোন অস্বাভাবিক গল্পের স্বষ্টি করে নাই। রায়গড় দুর্গ হইতে নিষ্ক্রান্ত হইবার পূৰ্ব্বে প্রতাপাদিত্য রক্ষি-সৈন্ত দ্বারা তাহার পাহারা ঠিক রাখিয় এবং রাজকার্য নিৰ্ব্বাহেল সাময়িক ব্যবস্থা করিয়া আসেন। তিনি ধূমঘাটে পৌছিলে, মাতা মহারাণী সংবাদ শুনিয়া হতচৈতষ্ঠ হইয় পড়েন। র্তাহার কোন সন্তান ছিলনা ; যাহাকে তিনি স্তন্ত দিয়া পুত্রপেক্ষাও অধিক স্নেহে প্রতিপালন করিয়াছেন, সেই আজ র্তাহার দেবতুল্য স্বামীকে হত্যা করিয়া আসিয়াছে ; এ শোক ও ক্ষোভ সহ করা যায় না। আকাশ অনেক দিন হইতে ঘনাচ্ছন্ন হইতেছিল, কিন্তু এমন ভীষণ প্ৰলয় আশঙ্কিত হয় নাই। আজ মহারাণীর সপত্নী-বিদ্বেষ আর নাই, প্রতাপের প্রতি পুত্রস্নেহও কোথায় চলিয়া গেল, জাগিয়া উঠিল শুধু সতী রমণীর অতুলনীয় পতিভক্তি। বিলাপ, আৰ্ত্তনাদ ও ভংসনার বেগ অচিরে বিলুপ্ত হইলে, সতীর অপূৰ্ব্ব তেজ সমুজ্জল হইয়া উঠিল। এত বড় প্রতাপশালী মহাবীর যে প্রতাপ, তিনি আজ দেবী-প্রতিমার পদপ্রান্তে বিলুষ্ঠিত হইয়া, নয়ন জলে ভাসিতে ভাসিতে আৰ্ত্তনাদ করিয়া ক্ষমা চাহিতে লাগিলেন। অনুতাপের পার নাই। ভুল অনেকের হয়, তাহার জীবনেও হইয়াছিল, এমন ভুল কদাচিৎ দেখা যায়। (এই জাতীয় ২১টি ভুল করিয়া মহাবীর আলেকজেণ্ডর নিজ চরিত্র কলঙ্কিত করিয়াছিলেন )। অবশেষে বসন্ত রায়ের ধৰ্ম্মপত্নী সহমরণের জষ্ঠ ব্যাকুল হইলেন। প্রতাপ মহারাণীকে ন জানাইয়া খুল্লতাতের অস্ত্যেষ্টি ক্রিয়া করিতে পারেন নাই। বসু মহাশয় লিথিয়াছেন, প্রতাপ বসস্ত রায়ের কাটামুগু লইয়া আসিয়াছিলেন। পুরোহিত দ্বারা সেই মুও আনাইয়া মহারাণী তৎসহ চিতারোহণ করিলেন। যখন মহাসমারোহে চিতার আগুণ জলিল, তখন মহারাণী చిét