পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

求bダ象 যশোহর-খুলনার ইতিহাস ঘটকের তাহাকে “মহাধনুৰ্ধরো মান মহারথ মহাশূর, বলিয়। বর্ণনা করিয়াছেন। বর্তমান বরিশালের নিকটবৰ্ত্ত কচুয়ায় তাহার রাজধানী ছিল ; ঐ স্থান প্রবল নদীর কূলবৰ্ত্তী বলিয়া অবিরত মগ ও ফিরিঙ্গির রাজধানীর উপর আ ক্রমণ করিত ; এজন্য কন্দৰ্প নাবায়ণ তথা হইতে রাজধানী স্থানান্তরিত করিয়া, নানা পরিবর্তনের পর, লোকালয় মধ্যবৰ্ত্তী মাধবপাশায় স্থাপন করেন এবং বহুসংখ্যক যুদ্ধতর ও কামান প্রস্তুত করিয়া নদীমুখে সৰ্ব্বদা যুদ্ধার্থ প্রস্তুত থাকিতেন । সকলের সমবেত চেঞ্জ ব্যতীত দেশের শান্তি রক্ষার উপায়াস্তর নাই, ভুঞা রাজগণ এক্ষণে তাহ বুঝিলেন । এজন্য সাধারণ স্বার্থের খাতিরে পরস্পরের মত-পার্থক্য বা দ্বেষ-হিংসা বিলুপ্ত রাখিয়া, পত্র-বিনিময় দ্বার সন্ধি সম্বন্ধ স্থাপনের জন্ত উদ্যোগী হইলেন। “কন্যপ ও প্রতাপ উভয়েই বীর ও সমধৰ্ম্মী ; ত্বরায় উভয়ের মধ্যে সোহাৰ্দ্দ স্থাপিত হইল।”* উভয়ই বঙ্গজ কায়স্থ এবং উভয় বংশের মধ্যে পূৰ্ব্বহইতে রক্ত-সম্বন্ধও ছিল। যশোহর-সমাজ প্রতিষ্ঠার পূৰ্ব্বে বাকুল সমাজই বঙ্গজ কায়স্তকুলের সর্বপ্রধান সমাজ ছিল এবং তাহার সমাজপতি ছিলেন কুন্দৰ্প ও র্তাহার পিতা । অচিরে উভয় বীরের মধ্যে কথাবার্তা স্থির হইয় গেল । শত্রনাশের জন্ত পরস্পর সাহায্য করিবেন, স্থির হইল। উভয়ের বন্ধুত্ব চিরস্থায়ী করিবার জন্ত কন্দপের পুত্রের সহিত প্রতাপাদিত্যের - কস্তাব বিবাহ স্থিরীকৃত হইয়া রহিল শুধু পুত্ৰ কস্তা উভয়ে শিশু বলিয়া বিবাহ কয়েক বৎসর স্থগিত রাখার পরামর্শ হইল । এমন সময়ে পূৰ্ব্ববঙ্গ হইতে প্রত্যাগত পাঠান দল বাকূল আক্রমণ কবিয়া বসিল । কন্দৰ্প নারায়ণ নামে মাত্র মোগলের সামন্তরাজ ছিলেন, ইহাও তাহাদের অক্রোশের বিযয় হইল। ঘটক কারিকায় এই প্রসঙ্গে জনৈক গাজীর সহিত যুদ্ধের কথা আছে, মাধবপাশা রাজধানীর কাছে “গাজীর দীঘি ” নামে একটি জলাশয় এখনও দেখিতে পাওয়া যায়। শত্ৰুনাশকারী পাঠান সর্দারের গাজী” উপাধি লইতেন। এখানে কোন পাঠান সর্দার আসিয়া ছিলেন, তাহ জানা যায় না । যিনি বা র্যাহারাই আসুন, হোসেনপুর নামক স্থানে তঁহাদের সহিত কন্দৰ্প নারায়ণের এক ভীষণ যুদ্ধ হইল। এ সময় প্রতাপাদিত্য সৈন্ত দিয়া • রোহিণী কুমার সেন প্রণীত “বাকল,” ১৭• পৃঃ