পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খৃষ্টান পাদরীগণ ఇlyఫి কর্ণাণ্ডেজ যশোহর হইতে নিষ্ক্রান্ত হইয় প্রথমে শ্ৰীপুরে ও পরে ডিাঙ্গতে পৌছেন এবং ফাদার ফনসেকাকে আবশ্বক কাৰ্য্য-নিৰ্ব্বাহের জন্য বালার পথে যশোহরে পাঠাইয়া দেন। ডু জারিকের বিবরণী হইতেই জানা যায়, বাকৃণ,ত্রপুর ও যশোহর তখনকার প্রধান তিনটি হিন্দুরাজ্য। চাকরী, বাণিজ্য প্রভৃতি নানা কাৰ্য-ব্যপদেশে এই তিন স্থানেই বহু পটুগীজ ও অন্তান্ত খৃষ্টাগণ আসিয়া বাস করিতেছিল। তাহার কোন কোন সময়ে দুইচারি বর্ষের মধ্যে মিশনরীর মুখ দেখিত না বা ধৰ্ম্ম উপাসনার কোন সুযোগ পাইত না। ফাদার ফন্‌সেকা বাকৃলায় পৌছিলে উহায় যেন হাতে স্বর্গ পাইল, রাজার সহিত র্তাহার সাক্ষাৎ করাইয়া দিল। তখন বালক রামচন্দ্র বাকৃলার রাজা, তাহার বয়স মাত্র ৮৯ বৎসর । তবুও তাহার বয়সের অতিরিক্ত বুদ্ধি, রাজোচিত গাম্ভীৰ্য্য ও সৌজন্ত দেখিয় জেসুইট পাদরী একান্ত মুগ্ধ হইলেন । রাজসভায় ফনসেক সমাদরে অভ্যর্থত হইলেন। প্রতাপাদিত্যের কন্যার সহিত রামচন্দ্রের বিবাহ প্রস্তাব তখন সকলের জানা ছিল। রামচন্দ্র যখন জিজ্ঞাসা করিলেন “আপনি কোথায় যাইবেন ?” তখন ফসেক উত্তর করিলেন, “আমি আপনার ভাবী শ্বশুরের রাজ্যে যাইব । আশা করি, আপনি আমাকে এই রাজ্যমধ্যে গীর্জা নিৰ্ম্মাণ ও খৃষ্টধৰ্ম্ম প্রচারের জন্য অনুমতি দিবেন।” রামচন্দ্র তদুত্তরে বলিলেন, “ইহা আমারও অভিপ্রেত, কারণ আমি আপনাদের অনেক সাশের বার্তা শুনিয়াছি।” তখনই পাদরীকে যথারীতি আজ্ঞাপত্র প্রদান করা হইল। উহার সঙ্গে দুইজন লোকের আহারাদির ব্যবস্থাসহ বাজ্য মধ্য দিয়া চলিয়া যাইবার অনুমতি ও থাকিল। • ফনসেকা তখন বালা হইতে নদী পথে দুইধারে মনোরম দৃত দেখিতে দেখিতে, ২০শে নভেম্বর তারিখে ধুমঘাটে পৌছিলেন । সেখানে তিনি ফাদার সোসাকে দেখিতে পাইয়া পরম সুৰী হইলেন। স্থানীয় পৰ্টুগীজের তাঙ্গকে খুব অভ্যর্থনা করিল। পরদিন তিনি প্রতাপাদিত্যের বারহরার দরবারে উপস্থিত হইয়া, তাহাকে বেরিঙ্গান জাতীয় একপ্রকার কমল লেবু উপহার দিলেন। এগুলি অতি সুন্দর এবং এদেশে পাওয়া যায় না। ৰাজা পাইয়া খুব সন্তুষ্ট হইলেন এবং সমাদৰে গ্ৰহণ করিলেন। উত্তর পূৰ্ব্বকোণে ' Bakarganj (Beveridge) p. 31. చిఇ