পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধশোহর-খুলনার ইতিহাস وی eن সন্ধি করিলেন যে, কার্ভালোর মাথা পাঠাইয়া দিবেন আর মগরাজ চাদেকান আক্রমণ হইতে বিরত হইবেন। “অপর পোর্জগজগণ, বিশেষতঃ পাদরীগণ রাজার বিশ্বাসঘাতকতা সন্দেহ করিয়া কার্ভালোকে কোন নিরাপদ স্থানে চলিয়া যাইতে উপদেশ দিল, যেখান হইতে সে রাজার প্রকৃত অভিপ্রায় বুঝিতে পারিবে এবং তৃতীয় ব্যক্তি দ্বার রাজার সহিত কথা চালাইতে পরিবে। স্থানীয় জুিদের মধ্যেও প্রবল জনবর উঠিল যে রাজা কার্ভালোকে হত্যা করিবেন। কিন্তু কার্ভালে এরূপ করিতে সন্মত না হইয়া, নিজের কয়েকজন কাণ্ডেনকে সন্তুষ্ট করিবার জন্ত রাজাকে দেখিবার জন্ত ( যশোরে ) গেল। তথায় তিন দিন পর্য্যন্ত রাজদর্শনের উপায় হইল না এবং নানারূপ বিশ্বাসের অযোগ্য ওজর শুনিতে পাইল। তিন দিন পরে রাজার চক্রান্ত কার্য্যে পরিণত করিবার সমস্ত আয়োজন সম্পূর্ণ হইলে, কার্ভালোকে কয়েকজন পোর্বুগীজ সহ রাজবাড়াতে আসিতে দেওয়া হইল। যেই সে শেষ দরজা দিয়া ঢুকাছে, অমনি সেই দরজা বন্ধ করির তাহার অমৃবৰ্ত্ত লোকদিগকে বাহিরে রাখা হইল। তাহাদিগকে বন্দী করিয়া, অস্ত্র ও পরিচ্ছদ কড়িয়া, লষ্টয়া, অত্যন্ত নিষ্ঠুরতা ও অপমানের সহিত তাহাদিগকে ঘুষি মারিয়া, পায়ে লোহার বেড়ী পরান হইল। তাছার পর রাজার আদেশে, কার্ভালোকে হাতীর পিঠে চড়াইয়া অন্ত স্থানে লইয়া যাওয়া হইল ; সঙ্গে রাজার একজন সেনানী ও ৪ জন রক্ষী সৈন্ত। তাহারা উচ্চ চীৎকার ও ব্যঙ্গ করিতে করিতে কার্ভালো ও অপর কয়েক জন পোর্জগতকে লইয়া চলিয়া গেল। এই বন্দিগণ মৃত্যুর পূর্কে কি কি ( অত্যাচার ও যন্ত্রণা ) সহ করিতে বাধ্য হইয়াছিল, এবং কতদিন বম্বিভাৰে কাটাইয়াছিল, তাহ নিশ্চিত জানা যায় না। এই মাত্র নিশ্চয় যে তাহাদিগকে হত্যা করা হয় । ৮ি৬৩-৬৪ পৃঃ ] “তাহার পর চাকোনের অপর পোর্বুগীজগণ এই সংবাদ পাই। কি প্রতীকার করিবে স্থির করিতে পারিল না ; ভাবিল রাজা কার্ভালোর উপর চটিয়া আছেন, আমরা ত নির্দোষ, তিনি আমাদের কোন অনিষ্ট করিবেন না । কিন্তু স্থানীয় পোর্তুগীজ উপনিবেশের ( সাধারণ নাম ব্যাণ্ডেল বা বন্দর, অর্থাৎ ধূম্ৰাটস্থ গীর্জাৰ পাৰ্শ্ববর্তী স্থান ) নিকটবৰ্ত্তী মুসলমানগণ ফিরিঙ্গিগণের মহাশত্র ছিল ; তাহারা ঐ সংবাদ আসিবার রাত্রেই পোর্তগীজ দিগের বাড়ী ও সম্পত্তি