পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.মোগল-সংঘর্ষ ৩২৫ দণ্ডায়মান হইয়াছিলেন । উড়িষ্যার ঈশা খার পুত্র পাঠান সর্দার সুলেমান এবং শ্ৰীপুরের কেদার রায় উভয়ে আসিয়া যুদ্ধ করেন। সুলেমান নিহত ও কেদার রায় পরাজিত হইলে ভূষণ অধিকৃত হয় । সুলেমানের মৃত্যুর পর তাহার কনিষ্ঠ ভ্রাত ওসমান পাঠান বিদ্রোঙ্গের প্রধান নেতা হন। কুচবেহারের রাজা লক্ষ্মী নারায়ণ, জ্ঞাতি ভ্রাত রঘুরায়ের সহিত বিরোধ করিয়া মানসিংহের বহুত স্বীকার করেন। রঘুরায় কত্রাভুর ঈশা খা ও মাগুম খুঁ। কাবুলীর সচিত যোগ দিয়া প্রবল হইলে পুনরায় ছুর্জন সিংহ প্রেরিত হন। বিক্রমপুধের ৬ ক্রোশ দূরে ঈশা ও মাগুম বহুসংখ্যক রণতরা লইয়া যে যুদ্ধ করেন, তাহাতে দুজ্জন সিংহ প্রাণত্যাগ করেন । ৪ কিছুদিন পরে মাগুম গা রোগাক্রান্ত হইয়া মৃত্যুমুখে পতিত হন এবং ঈশা খ৷ বহুত স্বীকার করেন। লক্ষ্মীনারায়ণ মানসিংহকে কন্যানান করতঃ সন্ধিসূত্রে আবদ্ধ হইয়াছিলেন । { এইরূপে উত্তরবঙ্গ কতকটা শাসনাধীন করিয়া মানসিংহ দাক্ষিণাত্য বিজয়ের জন্ত চলিয়া যাইতে বাধ্য হন। তখন তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র জগৎ সিংহ বঙ্গের মুবাদার হন। কিন্তু কয়েকদিন মধ্যে অকস্মাৎ আগ্ৰায় তাহার মৃত্যু ঘটিলে, জগতের ১৫১৬ বৎসর বয়স্ক পুত্র মহাসিংহ পিতৃপদ পাইলেন। ; কিন্তু বঙ্গের মসনদ বালকের জন্ত নছে। শাসনের শিথিলত দেখিবামাত্র বঙ্গীয় ভুঞাগণ পুনরায় ঘোর বিদ্রোহী হইয়া উঠিলেন। ওসমানের অধীন দুৰ্দ্ধান্ত আফগানের ভদ্রকে বাদশাহী সৈন্তকে ভীষণভাবে পরাজিত করিয়া পুনরায় উড়িষ্যা দখল করিয়া লইল। শ্ৰীপুরের কেদার পরাক্রান্ত নৃপতির মত শাসন করিতেছিলেন ; ভূষণার মুকুন্দরাম পুনরায় মাথা তুলিলেন ; বাকুলার রামচন্দ্র তখনওঁ লাবালক, প্রতাপাদিত্যের তত্ত্বাবধানে তাহার রাজ্য নিরাপদ ছিল। সকলের মধ্যে প্রতাপাদিত্যই সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রবল হইয়া শিরোত্তোলন করিলেন। এইবার তিনি • Akbarmama Beveridge Vol. III p. 1093-4. atonio off too “ofolnরাজস্থান" হইতে নিখিল বাবুর পুস্তকে এক অংশ উজ্জ্বত করিয়া দেখান হইয়াছে যে, প্রতাপাদিত্যের সক্তি যুদ্ধ করিতে গিয়া দুৰ্জ্জয় সিংহ স্বারা পড়েন, সে কথা ঠিক নহে। আবুল ফজলের গ্রন্থ অধিকতর প্রামাণিক ।

  • A. N. Vol. III p. 1 i3o.
Ibid ill. p. 1151