পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NVH যশোহর-খুলনার ইতিহাস নাই। কথিত আছে এই সময়ে কচু রায় উপযুক্ত শিক্ষক রাখিরা সুন্দর ভাবে ফারসী শিক্ষা করিয়াছিলেন । * যখন বঙ্গ হইতে প্রতাপের দেীর্জন্তের কাহিনী আসিতেছিল, তখন র্তাহার সাক্ষ্য সেই কাহিনীর প্রধান সমর্থক হইল। ক্ষিতীশ-বংশাবলী-চরিতে আছে —“অনস্তরমিন্দ্রপ্রস্থপুরেশ্বরে লিপিতঃ প্রতাপাদিত্যস্ত দেীর্জন্তং সমধিগচ্ছ কচুরায়েণাপি ইন্দ্র প্রস্থপুরগতেন সাক্ষিনেব তদানীমেব তদৈর্ঘন্ত গোচরীকৃতং। অর্থ ইন্দ্রগ্রন্থপূরেখরে রোযাৎ প্রফুরিতাধরে দ্বাবিংশত্যা সেনাপতিভিঃ সহ মানসিংহনামানং কঞ্চিং প্রধানামাতামাদিদেশ যথা মানসিংহ ভবান মহত সৈন্তেন পরিবারিতঃ প্রতাপাদিত্যং ঘরাত্মনং ঝটিতি বদ্ধ সমানয়তু।” এই আদেশ পাইয়া মানসিংহ বহু সৈন্তসামন্ত লষ্টয়া মহাড়ম্ববে বঙ্গাভিমুখে যাত্রা করিলেন। ঘটকের বলিয়াছেন যে, মানসিংহের আক্রমণের পূৰ্ব্বে বাদশাহ বঙ্গাধিপ প্রতাপের বিনাশ জন্ত “দ্বাবিশতিতমখানান প্রেষয়ামাস সত্বরং” অর্থাৎ ২২ জন আমারকে সসৈন্তে প্রেরণ করেন। কয়েকটি কারণে একথা সত্য বলিয়া মানিতে পারি না। ; প্রথমতঃ ১৫৮৯ খৃঃ অব্দ পর্য্যন্ত যখন মানসিংহ উড়িষ্যা ও উত্তরবঙ্গে বিদ্রোহ নিবারণ জন্য ব্যাপৃত ছিলেন, তখন প্রতাপ অনুগতভাবে কিছুদিন র্তাহার সাহায্যই করিয়াছিলেন, কোন অসদ্ভাব করেন নাই। শেষ দুই তিন বৎসর প্রতাপ রাজ্য বিস্তার করিবার সময়ে প্রকাশ্যভাবে মোগলের সহিত বিবাদ করেন নাই। সুতরাং এ সময়ে আমীরগণের আসিবার কারণ হয় নাই। দ্বিতীয়তঃ ১৫৯৯ অব্দে মানসিংহ দক্ষিণাত্য বিজয় জন্য বঙ্গ ত্যাগ করিলে প্রতাপ স্বাধীনতা অবলম্বন করেন, ওসমান উড়িষ্যা দখল করেন এবং দেশময় তুমুল বিদ্রোহ হয়। ঐ সময়ে মানসিংহর পুত্র ও প্রতিনিধি জগৎসিংহের মৃত্যু হওয়াতে, বৎসরের মধ্যে মানসিংহকে ফিরিয়া আসিয়া সেরপুরের যুদ্ধে পাঠানদিগকে পরাজিত করিতে হয় । এই বংসর মধ্যে বাদশাহ যদি ২২ জন আমীরকে ভার দিয়া পাঠাইতেন, তাহা হইলে একক মানসিংহের তত বাস্ত হইয়া ফিরিবার আবশ্বক ইষ্টত না। তৃতীয়তঃ কোন এক জনকে বিশেষ ভার না দিয়া ২২ জনকে এক • রাম বাম বহুর প্রতাপাদিত্য চরিত (১৮-১) ১৪sপৃ: । { ক্ষিতীশ ধংশাবলী, ৪র্থ পরিচ্ছেদ । নিখিল বাবুর গ্রন্থ, ২৯১ পৃঃ । নিখিল ৰঘুৰ প্ৰঙাপাচ্চিতা ১৫৮৯ঞ্চ । +