পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানসিংহ HIV সঙ্গে বা ভাগে ভাগে পাঠাইবার কোন যুদ্ধরতি দেখিতে পাওয়া যায় না। ভারপ্রাপ্ত কেহ আসিলে ২২শ জনের নাম হইত না। চতুর্থত; ধূমঘাটে টেঙ্গ মসজিদের কাছে ১২ জন ওমরাহের কবর আছে। অথচ যুদ্ধ সেখানে হয় নাই। পরাজিত আমীরদিগের শবদেহ দূৰ্ববৰ্ত্তী যুদ্ধক্ষেত্র হইতে আনিয়া সযত্নে নিজ রাজধানীতে এবং প্রধান মসজিদের পার্শ্বে কবর দিবার উদ্যোগ বা প্রবৃত্তি প্রতাপাদিত্যের হইয়াছিল বলিয়া মনে হয় না। অপর পক্ষে আমীরগণ মানসিংহের নেতৃত্বে তাহারই সহচৰ হইয়া আসিয়াছিলেন এবং তিনি যুদ্ধান্তে যখন রাজধানী দখল করেন, তখন উহাদের শবদেহ আনিয়া সমাধিস্থ করিয়া যান । সুতরাং ক্ষিতীশবংশে এবং অন্নদামঙ্গলে যেমন আছে, তাহাই সত্য -- বাইশ লস্কর সঙ্গে, কচুবায় ল’য়ে রঙ্গে মানসিংহ বাঙ্গাল আইল।” ১৫১৯ অব্দের শেষ ভাগে সেরপুব আতাই যুদ্ধে ওসমানকে পরাজিত করিবার পর মানসিংহ রাজধানীতে গিয়া বাদশাহের সহিত সাক্ষাৎ করেন। তখন আকবর তাহাকে সাত হাজারী মনসবদার প্রদান করিয়া সমস্ত ওমরাহেব শীর্ষদেশে স্থান দেন * এইবার প্রতাপাদিত্যের বিবরণ পৌছিল, এবং মানসিংহ বিংশ সহস্ৰ রাজপুত সৈন্তের অধীশ্বর হইয়। বঙ্গদেশ শাসন করিতে আসিলেন। কথিত আছে, আসিবার কালে তিনি বারাণসীধামে কিছুদিন বাস করিয়াছিলেন। ঐ সময়ে তিনি কামদেব ব্রহ্মচারী নামক একজন তেজস্ব সন্ন্যাসীর জ্ঞানবৈরাগ্যে মুগ্ধ হইয়৷ তাহার নিকট শক্তিমন্ত্রে দীক্ষিত হন। সন্ন্যাসী বাঙ্গালী ব্রাহ্মণ, তাহার পূৰ্ব্ব নাম কামদেব গঙ্গ্যোপাধ্যায়। র্তাহার পুত্র লক্ষ্মীকান্ত প্রতাপাদিত্যের সরকারে রাজস্ব বিভাগের প্রধান কৰ্ম্মচারী ছিলেন (২২১পৃঃ) । মানসিংহ গুরুর নিকট লক্ষ্মাকাস্তের কথা শুনিয়া বঙ্গে আসিয় তাহার অনুসন্ধান করিয়াছিলেন এবং প্রবাদ আছে, লক্ষ্মীকান্ত র্তাহাকে গুপ্তভাবে সংবাদ দিয়া সাহায্যও করিয়াছিলেন, নতুবা মানসিংহ উহাকে বহু পরগণার মালিক করিয়া যাইতেন না। লক্ষ্মীকাস্তের জীবনী ও বংশ কথা পরে আলোচনা করিব । ১৬০০খৃঃ অন্ধে মানসিংহ কাশী হইতে রাজমহলে পৌছিলেন এবং এবার বঙ্গদেশকে প্রকৃতভাবে শাসন তলে আনিবার জষ্ঠ সৰ্ব্ববিধ আয়োজনে প্রবৃত্ত

  • Ain, Blochman, p. 341. Stewart's 'History of Bengal, pp. 213-4.