পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

JJNు যশোহর-খুলনার ইতিহাস হইলেন। প্রায় ২৫ বৎসর হইল পাঠানের পরাজিত হইয়াছে, কিন্তু বঙ্গে মোগল-শাসন প্রবৰ্ত্তিত হয় নাই । মোগলের রক্ততর্পণ করিয়া যে রাজ্য জয় করিয়াছে, প্রতাপাদিত্য প্রভৃতি ভূঞাগণের পরাক্রমে সে নূতন রাজ্য বুঝি অঙ্গুলির অন্তরাল হইতে হস্তচু্যত হয়। তাই আকবর র্তাহার সর্বপ্রধান সেনাপতিকে সৰ্ব্ববিধ ভারাপণ করিয়া পুনরায় বঙ্গে প্রেরণ করিলেন। রাজ্যলাভ বী রাজস্ব সংগ্রহ হউক বা না হউক, পরাজিত হইয়। যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করা কখনও আকবরের স্বভাবগত ছিল না। অজস্র অর্থবৃষ্টি করিয়া তিনি রাজপুতনার রাজ্য চাহেন নাই, রাজপুতের বগুতা মাত্র চাহিয়াছিলেন। বঙ্গজয় হউক বা না হউক, সে কথা পরে দেখা যাইবে ; বঙ্গীয় ভুঞাগণ বিদ্রোহী হইয়া যাহাতে উত্তোলিত মস্তক অবনত করিতে বাধ্য হয়, যে কোন প্রকারে তাহাই করিতে হইবে। আর সেই সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় মানসিংহই একমাত্র সমর্থ কর্ণধার। তিনি র্তাহার গুরুতর দায়িত্ব বুঝিয়াছিলেন ; সাতহাজারী মন্সবদারের উচ্চ সন্মান যাহাতে রক্ষিত হয়, তজ্জন্ত প্রাণপণ চেষ্টা করিতে লাগিলেন। পূর্ণ দুই বৎসর ধরিয়া এই চেষ্টা চলিল। বিহারের সর্বত্র এবং বঙ্গের যতদূর পর্যন্ত সম্ভব, শাসনশৃঙ্খলা ও রাজস্ব সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হইল। মুখ-বিলাসে সমভাস্ত সিংহরাজ নিম্নবঙ্গের আবহাওয়াকে বড়ই ভয় করিতেন, কিন্তু তবুও সেখানে যাইতে হইবে। নৌ-সেনাপতি মুণ্ড রায় কেদার রায়ের সহিত যুদ্ধ করিতে গিয়া মৃত্যুমুখে পতিত চইলে মানসিংহ জল পথে কেদার রায়ের সহিত যুদ্ধ করিয়াছিলেন। কিন্তু কেদার রায় সে সন্ধিমত কার্য না করায় পুনরায় তিনি কিল্‌মক্‌ নামক আর এক সেনানী প্রেরণ করিলেন এবং স্বয়ং সৰ্ব্বপ্রথমে প্রতাপাদিত্যকে পযুদস্ত করিয়া আবগুক হইলে কেদারের রাজ্য আক্রমণ করিবেন, কিছুতেই ব্যর্থ মনোরথ হইয়া ফিরিবেন না, এই ভাবে প্রস্তুত হইতে লাগিলেন। অবশেষে ১৬৯৩ খৃষ্টাব্দের প্রারম্ভে তিনি বিরাট সৈন্ত-বাহিনী লইয়া যশোরাভিমুখে অগ্রসর চইলেন। কচুরীয় ও রূপরাম তার সঙ্গে সঙ্গেই ছিলেন । রাজমহল হইতে মানসিংহ কোন পথে বঙ্গে আসিয়াছিলেন, সে সম্বন্ধে মতভেদ আছে। পথও দুইটি ; এক পথ মুর্শিদাবাদের মধ্য দিয়া সোজা দক্ষিণমুখে, অন্ত পথ বদ্ধমান ঘুরিয়া । যে পথেই তিনি আমুন, জলঙ্গীর তীরবর্তী চাপড় নামক স্থানে তিনি ভৰানন্দ মজুমদার কর্তৃক সত্ত্বত হইয়াছিলেন, এরূপ বর্ণনা