পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭২ যশোহর-খুলুনার ইতিহাস প্রতাপাদিতোর পরাজয়ের পর যখন এই কথা ইসলাম খার কর্ণগোচর হয়, তখন তিনি ভবানন্দকে হুগলীর কানুনগো পদে প্রতিষ্ঠিত করিয়া মজুমদা উপাধি দিয়াছিলেন। -> “তাহার পর প্রভাপাদিত্যের রাজ্যের দিকে সকলে অগ্রসর হইলেন। পথে শিকার চলিতে লাগিল।” * বাগোয়ান হইতে বিরাট মোগল বাহিনী ভৈরব ও মাথাভাঙ্গা নদী দিয়া বর্তমান কৃষ্ণগঞ্জের সন্নিকটে পৌছিল। পথিমধ্যে মাটীয়ারিতে ভবানন্দ ঘাটোয়াল জমিদারের মত মোগল সৈন্যদলকে সংস্কৃত করিয়াছিলেন। কৃষ্ণগঞ্জের নিকটে যেখানে মাথাভাঙ্গা নদী চূর্ণ নাম ধারণ করিয়া দক্ষিণ বাহিনী হইয়াছে, সেই স্থান হষ্টতে পূৰ্ব্বমুখে ইচ্ছামতী বাহির হইয়া আসিয়ছে। এই ইচ্ছামতী নদীতে পড়িয়া মোগল সৈন্ত ও নওয়ারা ক্রমশঃ পূৰ্ব্ব-দক্ষিণ মুখে অগ্রসর হইতে লাগিল । সুদীর্ঘ আঁকাবাক মদীপথ বাহিতে বহু সময় লাগিয়াছিল। পরে বনগ্রাম পার হইয়া মোগল সৈন্ত প্রতাপাদিত্যের যশোহর রাজ্যের সীমান্তে আসিয়া পৌছিল। এই স্থানে যমুনা ও ইচ্ছামতী সঙ্গমের নিকট প্রতাপ-সৈন্তের সহিত মোগলদিগের প্রথম यूक श्झेन । ত্রয়ন্ত্রিংশ পরিচ্ছেদ–শেষ স্মৃদ্ধ ও পতন প্রভাপাদিত্যের শেষ পতন যে ইসলাম খাঁর সময়ে হয়, মানসিংহের হস্তে নহে, বহারিস্তান তাহা সপ্রমাণ করিয়া দিয়াছে। ১২০ বৎসর পূৰ্ব্বে লিখিত রামরাম বসুর বিবরণীও বহারিস্তানের বৃত্তাস্তের অনুগামী । বসু মহাশয় প্রচলিত প্রবাদ এবং পুরাতন পারসীক গ্রন্থ ইষ্টতে নিজের পুস্তক লিখেন । তিনি যে বঙ্গারিস্তানেরই সন্ধান পাইয়াছিলেন, এমন কোন কথা নাই। হয়ত রাজনীমা প্রভৃতি অন্ত পারসীক গ্রন্থও ছিল, এবং দৈবক্রমে উহা পুনরায় বহারিস্তানের মত ঐতিষ্ঠাসিকের গবেষণার গওঁীতে পড়িতে পারে। যাহা ছউক,

  • यदार्जी, ०७९१, कार्सिक, ७ शृ*