পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Oq8 যশোহর-খুলনার ইতিহাস করিয়া রাখা হইয়াছিল, এমন মনে হয় না । তাহাকে ছাড়িয়া দেওয়া হইলে, র্তাহার মুখেই প্রতাপের কাছে মোগল আক্রমণের সংবাদ পৌছিয়াছিল। যে ভাবে হউক মোগল-সৈন্ত পদ্মা পার হইবামাত্র, প্রতাপাদিত্য খবর পাইয় প্রস্তুত হইতে লাগিলেন। পদ্মা হইতে জলঙ্গীতে পড়িলে মোগল-বাহিনীর যশোহরে আসিবার দুইটি পথ ছিল ; প্রথম জলঙ্গী হইতে ভাগীরথীতে পড়িয় পরে ত্রিবেণীর নিকট যমুনায় প্রবেশ করিয়া অগ্রসর হওয়া যাইত ; দ্বিতীয়, জলঙ্গী হইতে ভৈরব ও মাথাভাঙ্গ বাহিয়া কৃষ্ণগঞ্জের কাছে ইছামতীতে প্রবেশ করা যাইত ; পূৰ্ব্বে বলিয়াছি, মোগল সৈন্ত দ্বিতীয় পথে আসিতেছিল। কিন্তু যে পথেই আসিত, যমুনা ও ইচ্ছামতীর সঙ্গমস্থল দিয়া যাইতে হইতই। এজন্য উহারই সন্নিকটে প্রতাপের পক্ষ হইতে নূতন দুর্গ রচিত হইল। ঐ সঙ্গম স্থলকে টিবির মোহন বলে, উহার একটু উত্তর দিকে সাল্খী নামক একটি নদী ইচ্ছামতী হইতে বাহির হইয়া গিয়া পুৰ্ব্বদক্ষিণ মুথে কপোতাঙ্গীতে পড়িতেছিল। রেণেলের প্রাচীন ম্যাপে উহার গতি দেখান আছে। এ নদী এক্ষণে ইছামতীর কাছে মজিয়া গেলেও কপোতাক্ষীর মোহানা হইতে অনেক দূর পর্য্যন্ত বেগবতী আছে। সে মোহানার অপর পারে কাটিপাড়া গ্রাম, আধুনিক ম্যাপে উছার নাম Chalkia Gang, কিন্তু সাধারণ সকল লোকে সাল্খী বলিয়া জানে। ইছামতীর সহিত সাল্খীসঙ্গমকে মুসলমান লেখক সালখাথান বলিয়াছেন। সেই স্থানে মোগল-সৈন্যের সহিত বঙ্গীয় সেনার প্রথম সংঘর্ষ হয়। প্রতাপাদিত্য মোগল পক্ষের যুদ্ধ যাত্রার সংবাদ পাইবামাত্র নিজের সমগ্র রণবাহিনীকে প্রধানতঃ দুই ভাগে বিভক্ত করিলেন। এক ভাগ লইয়া স্বয় রাজধানীর রক্ষার্থ ধূমঘাট দুর্গে রছিলেন, অপরভাগ লইয়া জ্যেষ্ঠ পুত্র উদয়াদিত্যকে অগ্রবর্তী হইয়া সালথার থানার কাছে শক্রপথে বাধা দিবার জন্ত পাঠাষ্টয়া দিলেন । উদয়াদিত্যের অধীন ৫• • রণতরী, ৪১টি হস্তী, এক সহস্ৰ অশ্বারোহী এবং কয়েক সহস্র ঢালী বা পদাতিক সৈন্য সাল্‌খার মোহানায় পৌছিল। এই সময়ে যুবরাজ উন্নয়াদিত্য বয়স্ক যুবক, (তাহার বয়স ২২২৩ বৎসর ), এবং তিনি চরিত্রগুণে সৰ্ব্বজন-প্রিয়। অজানিত অগণিত শক্র সেনাকে পথের মাঝে প্রথম বাধা দেওয়াই কৃতিত্ব এবং সাহসিকতার পরিচায়ক। প্রতাপাদিত্য অপাত্রে বিশ্বাস বিন্যস্ত করিয়া নিজের পথ কণ্টকিত করেন নাই। উদয়াদিত্য ষে প্রধান