পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ যুদ্ধ ও পতন ها (ن যুদ্ধ বাধিল ; বহুক্ষণ যুদ্ধের পর ] প্রতাপের নওয়ারাও বাদশাহী নৌকার কাছে পরাস্ত হইল এবং মীর্জা মহনও খাল পার হইয়া শক্ত জমিতে পেছিয়া হাতী ছটাইয়৷ দুৰ্গদ্বারের দিকে গেলেন। বাদশাহী নৌ-বলের মধ্যভাগ ও সেখানে আসিয়া পৌঁছিল। মহাযুদ্ধ চলিল; হতাহতে উভয় পক্ষে স্তুপ গঠিত হইতে লাগিল।” • বঙ্গীয় সৈন্ত বহু মূল্যে জীবন বিক্রয় করিল ; যাহার স্বচক্ষে প্রতাপের সমর-ক্রীড়া দেখিয়াছিলেন, তাহারও বিশ্বয় বিমুগ্ধ হইয় তাহার প্রশংসা করিতেছিলেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হইল না ; প্রতাপ রণভঙ্গ দিয়া দুর্গাভ্যন্তরে প্রবেশ করিলেন। মীর্জা সহন তখন যুদ্ধ জয় করিয়াছেন বলিয়া নকার ও ভেৰী বাজাইলেন। যশোহরের বীর্য-প্রতিভা নিম্প্রভ হইল ; এইপানেই প্রতাপের রণ-নাট্যের শেষ যবনিক পতন । পরাজিত পিতা পুত্র যশোহর-ভুর্গে মিলিত হইয়া পরামর্শ করিলেন। তখন মোগলের অত্যাচার ভয়ে চারিদিকে ভীষণ হাছাকার ধ্বনি উঠিয়াছে। মাত৷ যশোরেশ্বরী অন্তর্ধান করিয়াছেন বলিয়া গুজব রটিয়াছে। এমন সময়ে ছদৈব দেখিয়া জমাল খাঁ প্রতাপকে ছাড়িয়া খাগড়াঘাটে মোগল পক্ষে যোগ দিলেন। বিশ্বাসঘাতকতায় সে শেষ নিৰ্ম্মম দুঙ্গ প্রতাপ দেখিলেন। তিনি পাঠান দিগেরই স্বত্বের দাবি লইয়। বিংশাধিক বর্ঘকাল যুদ্ধ করিয়াছেন। ভাবিছ আসিয়াছেন, মহাবীর ওসমানের মত জমাল খাওঁ বুঝি পাঠানের মুখ রক্ষা করিবেন কিন্তু সে আশাও গেল। এদিকে বাকৃলা হইতে সৈয়দ হাকিমের মোগল-বাহিনী নিকটে আসিয়া পৌছিল। আর যুদ্ধ করিতে গেলে প্রজ বৃক্ষ হইবে না, সব যাইবে। সুতরাং সকলের পরামর্শ মত প্রতাপাদিত্য “আত্মসমর্পণ কৰাই স্থির করিলেন ; নচেৎ বৃথা সৈন্ত বধ হুইবে এবং সমস্ত রাজ্য লুঠ হত্যা ও অত্যাচারে ছারখার হইবে।” তি,ি আকবরী নীতির সহিত পরিচিত ছিলেন ; বস্তৃতা স্বীকার করিলে সন্ধি হইবে, ইঙ্গা লিশ্চিত জানিতেন। কিন্তু শত্রুদিগকে ছলে বলে কৌশলে যে কোন রূপে সমূলে উৎখাত করিবার যে নূতন নীতি ইস্লাম খাঁ প্ৰবৰ্ত্তিত করিতেছিলেন, তাহা তিনি বুঝিতে পারেন নাই। তাই আত্মসমর্পণের মন্ত্রণ স্থির করিলেন। যুদ্ধান্তে মোগল সৈন্তসমূহ ইছামতীর অপর পারে খাগড়াঘাটে ছাউনি করিয়া রছিল। “প্ৰতাপ একখানি কোশায়

  • अथवांनी, s७२१॥कांठिंक, ७-**ः ।