পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"రీనశి যশোহর-খুলনার ইতিহাস জীবিত ছিলেন, তাহ জানিবার উপায় নাই। যাহা হউক, উদয়ের মৃত্যু-সংবাদ আসিবামাত্র দুর্গমধ্যে ক্রনীনের রোল উঠিল। এইবার মোগল সৈন্ত দুর্গ আক্রমণ করিয়া দখল করিয়া লইবে লুঠপাট করিবে, আরও কত কি অত্যাচার করিবে, বলা যায় না। বিশেষতঃ শেষকালে উদয়াদিত্য যেভাবে অসংখ্য সৈন্য অসিমুখে নিক্ষেপ করিয়া গিয়াছেন, তাহার প্রতিশোধ লইবার জন্য যে মীর্জ সহন প্রভৃতি নৃশংসতার চরমসীমা দেখাইবেন, তাহা ভাবিয়া সকলেই ব্যাকুল হইল। কেবল প্রতাপ-মহিষী শরৎকুমারী পূর্কের অভিসন্ধি অনুসারে বিপৎকালে কৰ্ত্তব্য স্থির করিয়া লইলেন। দুর্গের ভিতরের পরিখায় (১৫৫পূঃ) পূৰ্ব্ব হইতে একখানি আবৃত নৌকা প্রস্তুত ছিল। মহারাণী অন্তান্ত স্ত্রী-পরিবার ও শিশু-সন্তানসহ সেই নৌকায় আরোহণ করিলেন। দুর্গের উত্তর-পশ্চিম কোণে যেখানে ঐ খাল বাহির হইয়া গিয়াছিল, তথায় একটি গুপ্ত দ্বার ছিল। উহা খুলিয়া দিলে নৌকাপথে পলায়ন করা যাইত। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি ঐ ভিতরের খাল গিয়া বাহিরের যে বিস্তীর্ণ পরিখায় মিশিয়াছিল, তাহার নাম কামারখালি ; উহ। অল্প দূরে গিয়৷ যমুনায় মিশিয়াছিল। যমুনা প্রবাহের প্রবল উচ্ছাসে কামারখালি তখন প্রশস্ত নদীতে পরিণত হইয়াছিল। এখনও তাহার খাত বৰ্ত্তমান যমুনার খাত অপেক্ষাও প্রশস্ত আছে । অবিলম্বে গুপ্তদ্বার উন্মোচিত হইল। রাজপরিবারবর্গের জীবনবাহিনী তরণী সেইপথে বাহিত হইয়া বাহিরে কামারথালিতে পড়িল। সেইখানে তরণীর তল-দেশ বিদীর্ণ করিয়া ডুবাইয় দেওয়া হইল। পরিবারবর্গ ও শিশুসন্ধানসহ যশোহরের মহারাণী জাতি মান রক্ষা করিয়া জলমগ্ন হইয়া প্রাণত্যাগ করিলেন। মোগলের হস্তুে সতীত্ব-ধৰ্ম্ম জলাঞ্জলি না দিয়া, প্রকৃত রাজপুতললনার মত যশোহরপুরীর কুল-লক্ষ্মীগণ যমুনাজলে জীবনাঞ্জলি দিলেন । এইবার যশোর-রাজলক্ষ্মী প্রকৃতভাবে অম্ভহিত হইলেন । ধুমঘাট দুর্গের উত্তর-পশ্চিম কোণে জহর ব্রতের চিতাচুল্লীর মত সেইস্থান এখনও প্রদর্শিত হয় । মহারাণী শরৎকুমারীর নামে এখনও তাহার নাম “শরৎখানার দছ”। * • মুসলমানের সন্মানিত ব্যক্তিকে যেমন খাব খান বলে, সন্ধান্তৰীলোকে তেমনি SBBS BBD DDS DDDD DBBBBDB BBBD tB B BBBBB BBS थखिश्ठि कब्रिध्नांहिण ।